logo
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:২৬
চট্টগ্রামে ৩ দিনেও শিশু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি
চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে  ৩ দিনেও শিশু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরের পোর্ট কলোনির একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিখোঁজ হওয়া সাত বছর বয়সি এক কন্যাশিশুর মরদেহ রোববার উদ্ধার করা হলেও কে বা কারা এবং কী উদ্দেশে এ শিশুকন্যাকে হত্যা করেছে সে রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও জড়িত কাউকেই শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।

 

একইসঙ্গে হত্যার মোটিভ জানতে না পারার কথাও স্বীকার করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে পুলিশ ধারণা করেছিল, ধর্ষণের পর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

 

চট্টগ্রাম বন্দর থানার ওসি মো. মাহফুজুর রহমান ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার এখনো কোনো ক্লু (সূত্র) পাইনি। তবে পরিবার এক রিকশাচালককে সন্দেহ করছে; তাকেও শনাক্ত করা যায়নি। এ ঘটনায় শুধু পুলিশ নয়; র‌্যাব, সিআইডিও কাজ করছে।’

 

পুলিশ স্থানীয় সোর্সের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসিটিভির সহযোগিতা নিয়ে রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা করছেন বলেও জানান ওসি।

 

রোববার দুপুরে বন্দর এলাকার পোর্ট কলোনির একটি পরিত্যক্ত একতলা পাকা ভবন থেকে সুরমা আক্তারের মরদেহটি উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। সে সময় পরিবারের পক্ষ থেকে একজন রিকশাচালককে সন্দেহ করার কথা বলা হয়েছিল।

 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিহত ওই কন্যাশিশুর পরিবার জানিয়েছিল, হালিশহর থানা এলাকার বুইল্ল্যা পাড়ার ওই বস্তির পাশেই নিহত সুরমার খালার বাসা। সন্ধ্যায় খালার বাসায় ভাত খেতে বের হয়েই সে নিখোঁজ হয়। পরে প্রতিবেশী আরেক শিশুর কাছ থেকে সুরমার পরিবার জানতে পারেন কীভাবে নিখোঁজ হয় নিহত মেয়েটি।

 

সুরমার খালা জ্যোৎস্না বেগম জানান, তার বাসায় রাতের ভাত খাবার জন্য বের হলে বড়পোল এলাকায় এক রিকশাচালক সুরমাকে দুই প্যাকেট বিরিয়ানি কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। এ সময় সুরমাদের প্রতিবেশী এক মেয়েও বিরিয়ানি কিনে দেয়ার জন্য বললেও রিকশাচালক শুধু সুরমাকে রিকশায় তুলে দ্রুত চলে যায়। ওই মেয়েটি বাসায় ফিরে সুরমার মাকে ঘটনাটি জানায়। তখন তারা সুরমার খোঁজে নামেন। পুরো এলাকায় খোঁজাখুঁজির পর শনিবার রাত ৯টার দিকে সন্ধান চেয়ে মাইকিং শুরু করা হয়। কিন্তু রাতভর আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে রোববার সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে একটি মেয়ের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন নিমতলা পোর্ট কলোনিতে গিয়ে সুরমার মরদেহ দেখতে পান।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/