logo
আপডেট : ২৭ জুন, ২০২২ ০৫:৪৫
কানাডার ক্যালগেরিতে
প্রবাসীদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় করার প্রত্যয়ে কুমিল্লা সমিতির মিলন মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রবাসীদের ভ্রাতৃত্ব বন্ধন দৃঢ় করার প্রত্যয়ে কুমিল্লা সমিতির মিলন মেলা

কানাডার ক্যালগেরি শহরের অদূরে অবস্থিত রকিভিউ রেঞ্জ রোড পার্কে অনুষ্ঠিত বনভোজনে কানাডায় অবস্থিত আঞ্চলিক সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সদস্যদের পরিবার বর্গ।

করোনায় দীর্ঘ বিরতির শেষে গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যখন বিশ্বের দেশগুলো ছুটি কাটাচ্ছে। ঠিক তখনি কানাডায় প্রবাসীদের মধ্যেকার ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ঐক্য আরো দৃঢ় করার প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক বনভোজন ও মিলন-মেলার।
 
কানাডায় অবস্থিত আঞ্চলিক সংগঠন বৃহত্তর কুমিল্লা (চাঁদপুর, কুমিল্লা আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া) জেলা সমিতি এ মিলন-মেলার আয়োজন করেন। বৃহত্তর কুমিল্লা  সমিতির দিনব্যাপী এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন অন্যান্য জেলার প্রবাসীরাও।
 
স্থানীয় সময় (গত ২৫ জুন) শনিবার ভোর সকাল থেকেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে প্রবাসীরা দলে দলে কানাডার ক্যালগেরি শহরের অদূরে অবস্থিত রকিভিউ রেঞ্জ রোড পার্কে অনুষ্ঠিত বনভোজনে যোগ দিতে থাকেন৷
 
বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির প্রবাসী উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আয়োজন করা। এসময় ক্যালগেরি থেকে নিজস্ব পরিবহন-যোগে প্রবাসীরা বনভোজনে যোগ দেন।
 
পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উম্মে হাবিবা মিলি। বনভোজন অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শরীফ সিদ্দিকী, মাহফুজা আক্তার পিংকি, সাইফুল ইসলাম মিশন, নজরুল ইসলাম, কামাল হোসেন, আনিসুল কবির, শাহেদ আহমেদ, সাইফুদ্দিন আহমেদ খোকন, শুভ্র দাস, ফজলে এলাহী অপু এবং হাসান রহমান, সোহাগ হাসান প্রমুখ।
 
এই গ্রীষ্মের ছটিতে বাংলাদেশি প্রবাসীরা  কানাডার পরিবেশ থেকে একটু হিমেল হাওয়া, প্রকৃতির নির্মল সান্নিধ্যে এবং প্রবাসের ব্যস্ত সময়ে প্রিয়জনদের পাশে সময় কাটাতে এ বনভোজনের আয়োজন করেন। যার কারণে অনেকটা শান্তির পরশ বয়ে যায় উৎফুল্ল প্রবাসীদের হৃদয়ে। পাশাপাশি শিশু–কিশোরদের বাঁধ ভাঙা আনন্দ উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
 
এসময় দুপুরের খাবার শেষে পরিবারগুলো ছেলেমেয়ে নিয়ে আনন্দ-আড্ডা ও নাচ-গানে মেতে ওঠেন। শিশু ও বড়দের নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের খেলা আর দৌড় প্রতিযোগিতার। অনুষ্ঠানে প্রবাসী শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করেন।

 

করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠে এতদিন পর সকলের সঙ্গে সমায় কাটাতে পেরে আনন্দিত প্রবাসীরা। 'ইডো জাপান' রেস্তোরার সত্ত্বাধিকারী শরীফ সিদ্দিকী ভোরের আকাশের প্রতিবেদককে মুঠো ফোনে বনভোজন নিয়ে তার পতি-ক্রিয়ার কথা জানান।
 
তিনি বলেন, খুবই ভালো লাগছে অনেকদিন পরে সবাই একত্র হতে পেরে। এতে করে একে অপরের প্রতি ভাতৃত্ব বোধ বাড়ে। আগামীতে আমাদের আরও বড় পরিসরে বনভোজনের পরিকল্পনা রয়েছে। 
 
তিনি বলেন, ব্যস্ততার কারণে প্রবাসে নিজ দেশের মানুষের সঙ্গে দেখা পাওয়া বা সময় কাটানো হয়ে উঠেনা! ফলে আমার পরামর্শ থাকবে অন্যান্য দেশের প্রবাসীরাও যেন বড় ছুটিগুলোতে এমন আয়োজন করেন। 
 
দিনব্যাপী এ আয়োজনে সকালের শীতকালীন পিঠা, দেশী ফলমূলসহ অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া পুরুষ, নারী ও শিশুদের জন্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়। অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয়।