logo
আপডেট : ২২ জুন, ২০২২ ১৯:১১
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড আছে, ডিলার নাই
নিজস্ব প্রতিবেদক

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড আছে, ডিলার নাই

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষেকে ভর্তুকি মূলে পণ্য সরবরাহ গতকাল বুধবার থেকে শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা হারে দুই লিটার। এক কেজি চিনি ৫৫ টাকা ও প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে দুই কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে। তবে- এবারে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে না টিসিবি। টিসিবি জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষ্যে আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের দোকান বা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য দিচ্ছে সংস্থাটি। এদিকে, বুধবার ঢাকা মহানগরির কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে খবর পাওয়া গেছে, নির্ধারিত সময়ে ফ্যামিলি কার্ড হাতে গ্রহকরা উপস্থিত হলেও ডিলার দোকান খোলেননি। ফলে- অনেক সময় অপেক্ষা করে খালি হাতে অনেকে ফিরে গেছেন।


পণ্য সরবরাহে সমস্যার বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার ও ডিলার জানিয়েছেন, ফ্যামিলি কার্ড হাতে লিখে দেয়ার কারনে সময় লাগছে। আর ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- নির্ধারিত সময়ে পণ্য না পেয়ে তারা দোকানে পণ্য আনতে না পারায় সমস্যা হয়েছে। তবে, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে এই কার্যক্রম সাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছেন, সংশ্লিষ্টরা।


এদিকে, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ কিছু জেলায় টিসিবির এই পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে ২৬ জুন। আর বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে আপাতত স্থগিত থাকবে বিক্রি কার্যক্রম। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে বিক্রির তারিখ জানাবে সংস্থাটি।


অপরদিকে নিত্যপণ্যের ঊধ্বগতির এই সময়ে সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, ভোক্তা সংশ্লিষ্টরা। সাধারণ মানুষের পাসে দাড়ানোর জন্য টিসিবির এই কার্যক্রম অব্যহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।


গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর ভোরের আকাশকে বলেছিলেন- করোনা মহামারি, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে বিশ^বাজার অস্থির। যেজন্য অভ্যান্তরিন বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা তৈরি হয়েছে। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ কোটি পরিবারকে যে সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে, তা’ নিত্যপণ্যমূল্য সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। এটি শুধু ঢাকা বা মহানগর কেন্দ্রীক না করে গ্রামে বা ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। যাতে এর সুফল সব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পেতে পারে।