-->

জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শোক

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।

 

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৩ (কপ ২৮) উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থানরত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক শোক বাণীতে বলেন, "অধ্যাপক মালিক কেবল বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রেই নয়, বরং উপমহাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বর্ষীয়ান উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে কাজ করে গেছেন। বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। এরকম মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুজনিত ক্ষতি কখনই পুরণ হবার নয়। তিনি ছিলেন আমাদের সকলের জন্য জাতীয় সম্পদ।"

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক মালিক এর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 

উল্লেখ্য, আজ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুল মালিক বার্ধক্যজনিত কারনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

 

উল্লেখ থাকে যে, মরহুম আব্দুল মালিক ২০০৪ সালে স্বাধীনতা পদক পুরস্কার ও ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নির্বাচিত হন। জানা গেছে, হৃদরোগ চিকিৎসার এই পথিকৃৎ ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

 

তিনি ১৯৪৯ সালেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।

 

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

 

আব্দুল মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নেসা খাতুন। তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়ের জনক। তার মেয়ে ডাক্তার ফজিলাতুন্নেছা মালিক ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, ঢাকার কার্ডিলজি বিভাগের অধ্যাপক। তার ছেলে মাসুদ মালিক একজন ব্যবসায়ী ও অপরছেলে মনজুর মালিক বর্তমানে কানাডায় কর্মরত।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version