-->

আইএসিআইবি কর্তৃক চ্যালেঞ্জ ফেসিলিটি ফর সিভিল সোসাইটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক
আইএসিআইবি কর্তৃক চ্যালেঞ্জ ফেসিলিটি ফর সিভিল সোসাইটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

"ইনস্টিটিউট অব এলার্জি এন্ড ক্লিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি)" উদ্যোগে "চ্যালেঞ্জ ফেসিলিটি ফর সিভিল সোসাইটি (CFCS) রাউন্ড-১১ প্রকল্প উদ্বোধনী ও অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইএসিআইবি এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন।

 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দেশ বরেন্য নাক কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর সাবেক ভাইস চ্যাঞ্জেলর, কৃমিল্লা -৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যক্ষা নিরাময় ও প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ, কিন্তু অর্ন্তভুক্তিমূলক কর্মসূচির অভাবে আমরা যক্ষা নিয়ন্ত্রনে অনেক পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, সরকার মাত্র ৩ বছরে কোভিড এর মতো ভয়াবহ মহামারী নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হয়েছে, কারন সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গিকার ছিল। যক্ষা নিয়ন্ত্রনেও অনুরুপ অঙ্গিকার থাকলে জাতিসংঘের ঘোষনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। তিনি যক্ষা নিয়ন্ত্রনে নুতন ডায়গনস্টিক প্রতিরোধ ও চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার ও টিবি-সিআরজি ( কমিউনিটি, রাইটস ও জেন্ডার) পদ্ধতিকে গ্লোবাল ফান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আশ্বাস প্রদান করেন যে, আগামী জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে বিশ্বের সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সাথে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশকেও ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা মুক্ত করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গিকার প্রদান বিষয়ে প্রচেষ্টা চালাবেন।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে সুচিন্তিত মতাতমত প্রদান ও ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা নির্মূলের অঙ্গিকার করে বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল ফান্ড ব্যবস্থাপনা বিষয়ক 'বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেশন ম্যাকানিজম ( BCCM) ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান। টিবি-সিআরজি যক্ষা রোগীদের অধিকার ও ক্ষতিকর জেন্ডার বৈষম্য নিরোসন করে যক্ষা নিয়ন্ত্রনে স্টপ টিবি পার্টনারশীপ ও ইউএনওপিএস এর একটি নুতন এপ্রোচ। বাংলদেশে গ্লোবাল ফান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচি পরিচালিত করবেন বলে তিনি তার মতামত প্রদান করেন।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যক্ষা পরিস্থিতি ও CFCS প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন আইএসিআইবি'র পরিচালক যোগাযোগ সভারঞ্জন শিকদার । তিনি তার উপস্থাপনায় যক্ষা আক্রান্ত জনসমাজকে সম্পৃক্ত করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিকর জেন্ডার বৈষম্য নিরসন করে অর্ন্তভুক্তিমূলক জাতীয় যক্ষা কর্মসূচি প্রনয়ন এবং জাতিসংঘের মাল্টিস্টেকহোল্ডার হেয়ারিং এর ঘোষনার আলোকে আগামী ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অঙ্গিকারের সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরেন।

 

অধ্যাপক ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন সভাপতির বক্তব্যে, বিগত ৭-১০ মে ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘে মাল্টিস্টেকহোল্ডার হেয়ারিং অধিবেশনে অংশগ্রহনের আলোকে নির্ধারিত ৬টি 'মূল আহ্বান' ( Key Asking) তুলে ধরেন।

 

তিনি বলেন, আগামী জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে এ 'মূল আহ্বান' বিশ্বের সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিকটতুলে ধরা হবে।

 

তিনি প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, সম্মানিত অতিথি ও মিডিয়া ব্যাক্তিবর্গসহ উপস্থিত সকলকে প্রকল্প অবহিতকরন সভায় অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ ও কতৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

মন্তব্য

Beta version