-->

ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে চাপে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে চাপে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর

ওষুধের দাম বাড়াতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।

 

তিনি বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কাঁচামাল আনতে সমস্যা হচ্ছে, যার কারণে ওষুধের দাম বাড়াতে আমাদের ওপর চাপ রয়েছে। এ জন্য চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

 

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমরা তৈরি করি। ২ ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে আনতে হয়। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চাপ সামাল দিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের নেওয়া বিভিন্ন উপহার কমিয়ে দিতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ২০২০ সালে দেশের নাগরিকদের ব্যক্তি খরচের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২০ সালে সরকারের মাথাপিছু ব্যয় হতো ৫৪ ডলার। বর্তমানে সরকার স্বাস্থ্যসেবায় যে অর্থ ব্যয় করে, তার সবচেয়ে বেশি হয় ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে।

 

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস বলছে, স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের গড় মাথাপিছু ব্যয় ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৫৪ ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৭ ভাগ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সবচেয়ে কম ৩ ভাগ ময়মনসিংহ বিভাগে। মাথাপিছু হিসেবে ঢাকা বিভাগের জনপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ ৭ হাজার ৩৯ টাকা এবং ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬০ টাকা।

 

এদিকে ২০২২ সালের জুলাইয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বহুল ব্যবহৃত ২০টি জেনেরিকের ৫৩টি ব্র্যান্ডের ওষুধের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। এর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার প্যারাসিটামলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ থেকে শতভাগ। মাত্র ৪০ টাকার এমোক্সিসিলিনের দাম করা হয়েছে ৭০ টাকা, ২৪ টাকার ইনজেকশন ৫৫ টাকা। ৯ টাকার নাকের ড্রপের দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮ টাকা।

 

কোনো কোনো ওষুধের দাম ৯৯ থেকে ১৩২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে কয়েকটি কম্বিনেশনের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version