-->

দুর্গাপূজায় যাত্রানুষ্ঠানের দাবি শিল্প সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্গাপূজায় যাত্রানুষ্ঠানের দাবি শিল্প সমিতির

ঢাকা: যাত্রাশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি এমএ মান্নান বলেছেন, যাত্রা- বাংলাদেশের এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। যাত্রা শিল্পের সেই সোনালী দিন এখন আর নেই। যাত্রা একটি পেশাদারী শিল্প, কিন্তু নেই পেশাগত নিশ্চয়তা। ফলে বহু বেকার শিল্পী আজ অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই সামনের দুর্গাপূজা থেকে যাত্রানুষ্ঠানের অবাধ অনুমতির দাবি জানাচ্ছি।

 

রোববার (২৫ সেপ্টম্বর) বেলা ১২ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যাত্রাশিল্প মালিক সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম আলম লাভলু সহ যাত্রা পালা কর্মীরা।

 

এম এ  মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, থিয়েটার ও নাটক আসার অনেক আগে থেকে এদেশে যাত্রার জন্ম। যুগ-যুগব্যাপী এ ধারাটি বিভিন্ন বিন্যাসে ও আঙ্গিকে আমাদের লোকায়ত জনপদকে আন্দোলিত করে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়  শিল্পকলা একাডেমি যাত্রাদলের নিবন্ধন নিচ্ছে, কিন্তু জেলা প্রশাসন যাত্রানুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না। প্রশাসনের এই পরস্পরবিরোধী মন-মানসিকতার কারনে।

 

কয়েক বছর যাবৎ দেশে যাত্রাপ্রদর্শনী বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি বছর দুর্গাপূজা থেকে যাত্রাশিল্পের যে নতুন মৌসুম শুরু হয় এই সময়েও যাত্রার অনুমতি দেয়া হয় না।

 

আমরা যাত্রাদলের মালিকরা এই অবস্থার নিরসন চাই। আসন্ন দুর্গাপূজা থেকে সারা দেশে যাত্রানুষ্ঠানের অবাধ অনুমতির ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

যাত্রাশিল্পের সৃজনশীল বিকাশ ও মানোন্নয়নে যাত্রাশিল্প মালিক সমিতি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- শহর-বন্দর-গ্রামে গঞ্জে যাত্রানুষ্ঠানের ব্যাপক অনুমতি প্রদানের,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে পৃথক যাত্রা' বিভাগ রাখা। অসচ্ছল সংস্কৃতি সেবীর জন্য ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে যাত্রাশিল্পীদের জন্য পৃথক কোটার ব্যবস্থা রাখা। প্রতি বছর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় যাত্রা উৎসবের আয়োজন করা। জেলা উপজেলায় যাত্রাপ্যান্ডেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া। একটি জাতীয় যাত্রামঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version