-->

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সংঘর্ষ, ছুটি ঘোষণা

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সংঘর্ষ, ছুটি ঘোষণা
সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গেটে তালা

সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

 

সোমবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হাবিব কাজল। এদিন, সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের ইউনিভার্সিটির আবাসিক হল ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।

 

জানা যায়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তরকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ২ নভেম্বর থেকে উত্তপ্ত হয় সাভারের খাগান এলাকা। শিক্ষার্থী হত্যাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় চাঁদগাঁও এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীরাও এলাকায় প্রবেশ করে প্রায় ২ শতাধিক দোকান ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছে।

 

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হাবিব কাজল বলেন, সোমবার থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

 

এদিকে, শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছেছেন। সোমবার সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর কাজী দিলজেব কবির বলেন, এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর তাদের ক্যাম্পাস থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের পৌঁছে দেয়।

 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৩ ধাপে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানো হয়েছে। প্রথম ধাপে বাসযাত্রায় ক্যাম্পাস থেকে দেউলঘাটে শিক্ষার্থীদের নেয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বোটে করে পঞ্চবটি ঘাটে পাঠানো হয়। তারপর সেখানে অপেক্ষমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বাসে করে শিক্ষার্থীদের উত্তরার মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে দেয়া হয়।

 

আশুলিয়া থানার এসআই ফরহাদ বিন করিম বলেন, এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণার কথা শুনেছি। তারপরও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা এলাকায় অবস্থান করেছি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version