-->

ঘূর্ণিঝড় মোখা: এসএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি দেখে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘূর্ণিঝড় মোখা: এসএসসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি দেখে

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত বা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক প্রফেসর তপন কুমার সরকার।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, অনেক অভিভাবক-শিক্ষার্থী জানতে চাইছেন ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চলমান এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হবে কিনা। আসলে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

পরিস্থিতি খারাপ হলে পরীক্ষা কী শুধু উপকূলীয় অঞ্চলে স্থগিত হবে, নাকি সারা দেশে স্থগিত হবে এমন প্রশ্নে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এটাও পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

এদিকে বিকেলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দেশের সব শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা ২০২৩ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী ২/১ দিনের মধ্যে দেশের উপকূল অঞ্চলসহ সারা দেশে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সতর্কতামূলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। বোর্ডগুলোর এসএসসি/সমমান পরীক্ষা চলমান থাকায় বোর্ডগুলোকেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।

 

এ লক্ষ্যে ট্রেজারি, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রক্ষিত পরীক্ষা সংক্রান্ত সব গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য স্ব স্ব বোর্ডের নির্দেশনা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।

 

বোর্ড সূত্র বলছে, এর আগে পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন এ ধরনের দুর্যোগের সময় কেন্দ্রীয়ভাবে সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে নতুন সময়সূচিতে স্থগিত পরীক্ষা নেয়া হয়ে থাকে।

 

সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯৫ কি.মি. দক্ষিণ- দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

 

এটি আরো ঘনীভূত হয়ে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

 

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

 

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version