-->

শুরু হয়েছে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
শুরু হয়েছে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন

শুরু হয়েছে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন। গতকাল মঙ্গলবার শুরু হওয়া আবেদন কার্যক্রম চলবে আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। আর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ মে।

 

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ(মঙ্গলবার) থেকে বিডিএস ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। আর আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল (রোববার) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

 

এর আগে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবেদনকৃত শিক্ষার্থীরা ৩০ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ মে (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে ২০২২ সনে এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান ও ২০২০ সনে এসএসসি/'ও' লেভেল/সমমান অথবা ২০২১ সনে এইচএসসি/'এ' লেভেল/সমমান ও ২০১৯ সনে এসএসসি/'ও' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাসের পূর্ববর্তী ২ (দুই) বছরের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় পাস হতে হবে।

 

এসএসসি / 'ও' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ এবং এইচএসসি/ 'এ' লেভেল/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বিবেচিত হবেন। এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ হতে হবে।

 

পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ০৫ (পাঁচ) নম্বর বাদ দিয়ে এবং পূর্ববর্তী বছরের সরকারি মেডিকেল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট এ ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রীদের ক্ষেত্রে মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৮.০ (আট) নম্বর বাদ দিয়ে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।

 

উপজাতীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ হতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ এর কম হলে আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

 

সকলের জন্যে এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ না থাকলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

 

১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের ১ ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষায় বিষয় ভিত্তিক নম্বর বিন্যাস: জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়নবিদ্যা ২৫, পদার্থবিদ্যা ২০; ইংরেজি ১৫; সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

 

লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version