-->

প্রাথমিকে নিয়োগ পেতে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন ৮০ শারীরিক প্রতিবন্ধী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রাথমিকে নিয়োগ পেতে উচ্চ আদালতে যাচ্ছেন ৮০ শারীরিক প্রতিবন্ধী

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিবন্ধী কোটার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন ৮০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী। গাইবান্ধার মাহবুব শেখ, রংপুরের আবু জাহিদ, বাগেরহাটের পার্থ প্রতিম, নরসিংদীর পারুল বেগমসহ ৮০ জনকে নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে শিগগিরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী কোটায় ওই ৮০ জনকে নিয়োগ না দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই রিট আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

 

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন প্রস্তুত করেছি। তারা সবাই শারীরিক প্রতিবন্ধী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল। তাই তাদের পক্ষে বিনা পয়সায় রিট মামলা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

আইনজীবী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে উত্তীর্ণ করে চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এই নিয়োগে নারী কোটা, পোষ্য কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হয়েছে। অথচ প্রতিবন্ধী কোটায় কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এই প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগ না দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

 

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেয়া হলেও চ‚ড়ান্ত ফলাফল একবারেই প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চ‚ড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।

 

জানা যায়, এই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বরাদ্দ রেখে ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়। যেখানে মহিলা ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট পুরুষ ২০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ করা হয়।

 

বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদ অনুসারে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও এটি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল, ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নেয়া হবে। অবসরের কারণে ১০ হাজারের বেশি পদ খালি হওয়ায় পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

 

কিন্তু লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চ‚ড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আগে পদ সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। পদ বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ এবং পদ সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে ৬১ জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপিও দেন চাকরিপ্রার্থীরা।

 

২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত শূন্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। পরে বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সঙ্গে পাঁচ হাজার পদ বাড়ানো হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version