-->

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪.৪৩%

নিজস্ব প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৪.৪৩%

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের অফিসিয়াল ডেটা সোর্স ‘অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটেক্সা) ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে জুলাই মাসের যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ পোশাক আমদানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

 

ওটেক্সার তথ্য মতে, ২০২১ সালের একই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সারা বিশ্ব থেকে দেশটিতে রপ্তানি বাড়ার হার ৩৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখিত সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করেছে।

 

এ সময়ে চীন থেকে আমদানী প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪০ শতাংশ। চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শীর্ষ পোশাক আমদানির উৎস। উল্লেখিত সময়ে চীন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি করেছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

 

একই সময়ে, ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ৩৫ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, দেশটি থেকে আমদানি পৌঁছেছে ১০ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

 

অন্যান্য শীর্ষ দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পাকিস্তান থেকে আমদানী একই সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

বিজিএমইএ পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল জানান, মুলত করেনা মহামারী পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তার কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

তবে, মুল্যস্ফীতি, ফেডের হার বৃদ্ধি, এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দার কারণে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়। অস্বাভাবিক দীর্ঘ গ্রীষ্মের কারনে শীতের পোশাক চাহিদাও তুলনামুলক কম।

 

লক্ষণীয় যে বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানি আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিল, ফলে বাংলাদেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রাখতে পারে এবং পরবর্তীতে অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে খুচরা বিক্রয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় ক্রেতারা সতর্ক অবস্হানে আছেন বলে তিনি দাবি করেন।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version