-->
পৌনে চার কোটি টাকার জমি দখলের অপচেষ্টা

জাল দলিলের হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভূয়া দাতা ও স্বাক্ষীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
জাল দলিলের হোতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভূয়া দাতা ও স্বাক্ষীদের
লাক মিয়া

নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জে জাল দলিল করে পৌনে চার কোটি টাকার জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকার বাসিন্দা জাহের উদ্দিন সরকারের জমি জাল দলিল করে দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে- এই চক্রের মূল হোতা আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মৃত ছাবেদ আলীর ছেলে লাক মিয়া। তিনি এই জমি দখলের জন্য যাদের নাম ব্যবহার করে জাল দলিল বানিয়েছেন, তারা লাক মিয়াসহ এই চক্রের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

 

সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় রুপগঞ্জের ওই এলাকার তিন জন ব্যক্তির। যাদের মধ্যে একজনকে পাওয়ার দেওয়া হয়েছে বলে জাল দলিলে দেখানো হয়েছে। আর অপর দুই জনকে জাল দলিলের স্বাক্ষী দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই তিনজনের দাবি তারা কেউই এ বিষয়ে কিছু জানেন না।

 

রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী একটি দলিলে দাতা, গ্রহীতা, দুজন সাক্ষী ও একজন শনাক্তকারী থাকার কথা। কিন্তু যাকে দাতা, যাকে গ্রহীতা বা যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে, কেউ দলিলের বিষয়ে কিছুই জানেন না। জমি দখল করতে আসলে প্রকৃত মালিক জাহের উদ্দিন সরকার মামলা দায়ের করলে তখন গ্রহীতা ও স্বাক্ষীরা বিষয়টি জানতে পারেন এবং তারা খুবই বিব্রত হন। দীর্ঘ তদন্ত ও সকলের সাক্ষ্য গ্রহণের পর ৬ জুন এই মামলার রায়ের দিন ধার্য হয়। আলোচিত এ মামলায় রায় আজ। আজ রায়ের অপেক্ষায় তারা। ভুক্তভোগীদের প্রত্যাশা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে আসামীদের।

 

জানা গেছে, প্রথমে শুভ বিশ্বাস নামের এক চা দোকানদারকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে জমির মালিক দেখানো হয়। এরপর তার কাছ থেকে সাব কবলা (রেজিস্ট্রি দলিল) দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা হস্তান্তর করা হয় ফুটপাতের দোকানদার মো. মামুনের কাছে। আর এই মামুনের কাছ থেকে হেবা বিল এওয়াজ দলিল মূলে মালিকানা হস্তান্তর করা হয় লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের নামে।

 

‘জাল’ দলিলে রূপগঞ্জের মর্তুজাবাদ মধ্যপাড়া গ্রামের হাজী নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন মিয়া ও রূপগঞ্জের ভুলতা আমবাগানের জাদব চন্দ্র সরকারের পুত্র শৈলেন সরকারকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।

 

গ্রহীতা এবং স্বাক্ষীদের অভিযোগ- দলিলে তাদের নাম ঠিকানা ব্যবহার করলেও কেউই উপস্থিত ছিলেন না। স্বাক্ষরও করেননি। তাদের নাম ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে জাল দলিল করা হয়েছে।

 

সোমবার সন্ধ্যায় গাউছিয়া এলাকায় বসে শুভ বিশ্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি জাল দলিলের বিষয়ে কিছু জানতেন না। মামলা হওয়া পর জানলেন।

 

ঘটনার বর্ণনায় শুভ বলেন, ‘আমার এলাকার মেম্বার সাহেবের সঙ্গে আমার একটু চলাফেরা আছে। উনি জমি নিয়ে কাজ করে আমি জানি। মাঝখান দিয়ে মেম্বার একদিন কইলো কি, একটা জমি কিনবো তোর নামে পাওয়ার লইমু, তুই আইডি কার্ড দিস, ফটো দিস। ফটো আইডি কার্ড দেওয়ার পর আর কি হইছে কিছুই জানি না। অনেকদিন পরে কইতেছে, তোর নামে যে পাওয়ারটা লইছি, ওই পাওয়ারটা মামুনের কাছে দিয়ে দিতে অইবো। মামুনের নামে তুই দিয়ে দিস। তা আমি ভাবলাম ঠিক আছে। হে আমারে পাওয়ার লওয়াইছে, তাইলে আমি হের কতায় আবার মামুনরে দিয়ে দিলাম, হের টা হেরেই। আমার ঝামেলা শ্যাস। আমি ভাবছি এডা।’

শুভ বিশ্বাস

 

কিন্তু এ ঘটনা এতো দূর গড়াবে বুঝতেই পারেননি শুভ। শুভ জানান, কার জায়গা, তার নামে কে পাওয়া দিয়েছেন- এসব তিনি কিছুই জানতে না। মামলার পরে জানতে পারলেন মেম্বাররা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি পাওয়ার নেওয়ার জন্য কোথাও যাননি। কিন্তু মামুনের নামে দেওয়ার সময় তিনি গিয়েছিলেন বলে জানান শুভ। তখন দলিল লেখক, মেম্বার ছিলো, শফিউল্লাহ এবং মামুন সেখানে উপস্থিত ছিলো।

 

মামুন বলেন, তিনি একজন ফুটপাতের ব্যবসায়ী। তিনি বুঝতেই পারেননি তার নাম ব্যবহার করে এরকম জালিয়াতি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমার এলাকায় আইয়া যদি জিজ্ঞাস করে যে কোনো লোক বলতে পারবো। তাদের কারণে এখন আমার আদালতে ঘুরতে হচ্ছে। সবসময় যে হাজিরা দেবো ওই টাকাও আমার কাছে থাকে না।’ কোনো কিছু না জেনে কেন তাকে এভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে এমন প্রশ্ন শুভর।

 

শুভ বলেন, ‘জায়গার মূলত মালিক জাহের উদ্দিন সরকার। আমি আগে কখনোই তাকে দেখিনি। তাকে আমি চিনিও না। এখন মামলার পর চিনেছি, আদালতে দেখেছি। এই জাহের উদ্দিন সরকারের জায়গা ওরা আমার নামে ভূয়া পাওয়ার করিয়েছে। আমি আদালতেও এই বিষয়গুলো বলেছি। আমি ওদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি ওই প্রতারকদের বিচার চাই। আদালত যেন ওদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দেন এমন প্রত্যাশা শুভর।

 

দলিলে স্বাক্ষী ছিলেন কিনা জানতে চাইলে এই দলিলে স্বাক্ষী হিসেবে নাম থাকা জাদব চন্দ্র সরকারের ছেলে শৈলান সরকার বলেন, ওই দলিল সম্পর্কে কিছুই জানি না। তাহলে দলিলে স্বাক্ষী কিভাবে দেবো। আমি মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। মামলা না হলে তো জানতামই না যে আমার নাম স্বাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করে কত বড় জালিয়াতি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আদালতেও বলেছি। আমার নাম কিভাবে দিলো তা বোধগম্য না। যে বা যারা স্বাক্ষী হিসেবে আমার নাম দিয়েছে, আমি চাই এর বিচার হোক। মামলার পর আমি ফারুক মেম্বার আর সফিউল্লাহকে জিজ্ঞেস করছিলাম স্বাক্ষী হিসেবে আমার নাম কে দিলে? তার বলে তারা কেউই জানে না। তাহলে কি হাওয়া ভেসে গেলে আমার নাম।

শৈলান সরকার

 

তিনি আরো বলেন, দলিলে আমাকে স্বাক্ষী হিসেবে দেখিয়ে যে সিগনেচার দেওয়া আছে সেই সিগনেচারের সঙ্গে আমার সিগনেচারের কোনো মিল নেই। আমার বাবার নাম পর্যন্ত ভূল। আমার নাম দেওয়া শৈলান সরকার, বাবার নাম দেওয়া মাখন সরকার। মূলত আমার বাবার নাম হচ্ছে জাদব সরকার। আমি ফারুখ মেম্বার আর সফিউল্লাহর কাছেই জিজ্ঞেস করেছিলাম আমি ছিলাম কিনা। ওরাই বলেছে আমি ছিলাম না। তাহলে আমি কিভাবে স্বাক্ষী দিলাম জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব দিতে পারেনি। আমি চাই যে আমার নাম ব্যবহার করেছে, আমার একটাই কথা, আমি বিচার চাই।

 

আরেক স্বাক্ষী জয়নাল আবেদীন মিয়া বলেন, আমি কিছুই জানি না। মামলা হওয়ার পর কোর্ট থেকে নোটিশ আসলো, আমি নাকি এই দলিলের স্বাক্ষী। তখন আমি বিষয়টি জানলাম। এরপর আমি এ বিষয়ে রুপগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। তখন আমাকে হুমকিও দিয়েছিলো। বলেছিলো ‘কোর্টে যদি মুখ খুলিস তাহলে তোকে জানে মাইরাহালামু’। আমি তাতে ভয় পাইনি। সত্য কথা বলে এসেছি। আদালত আমাকে ডাকেছিলো, আমি আদালতে গিয়ে বলেছি, আমি এই দলিলে স্বাক্ষী ছিলাম না। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। দলিলের সময় আমি যাইওনি, স্বাক্ষীও দেইনি। ওরা আমার জাল সিগনেচার দিয়েছে।

জয়নাল আবেদীন মিয়া

 

জয়নাল বলেন, এসবের মূল হোতা হচ্ছে আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়া। তিনি তার এলাকার বহু জমি এভাবে জবরদখল করেছেন। তার বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ আছে। তিনি খুব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মূল খুলতে সাহস পায় না। লাক মিয়া, শুভ বিশ্বাস, মামুন, ফারুক, মাহমুদাসহ আসামিরা জাল দলিল কওে এই জমি আত্মসাতের চেষ্টা করেছে। এই জমির মূল মালিক জাহের উদ্দিন সরকার।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাল দলিল করার পর লাক মিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ওই জমি দখলের অপচেষ্টা চালায়। জমি দখলের জন্য জমিতে থাকা চারটি টিনশেড রুম ও জমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। তখন জমির মূল মালিক ঢাকার বাসিন্দা মো. জাহের উদ্দিন সরকার মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে পিবিআই এই মামলা তদন্ত করে।

 

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারপরই শুরু হয় এর বিচারকার্য।

 

তদন্তকালে জাল দলিলের শনাক্তকারীকে খুঁজে পায়নি পিবিআই। এরপর লাক মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে জমি আত্মসাতের অপচেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে পিবিআই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে লাক মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ মুখ্য মহানগর আদালতে মামলার বিচার চলছে।

 

আদালতে বাদী পক্ষের হয়ে মামলা পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন। এ মামলায় ন্যায়বিচার পাবেন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, আশা করি জাল-জালিয়াতির অভিযোগে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি হবে।

 

আদালতে দেয়া সাক্ষ্যে মামলার বাদি জাহের উদ্দিন সরকার বলেন, তার কেনা জমি ও নামজারি মূলে দখলে থাকা জমি লাক মিয়া তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম, ফারুক ও শফিউল্লাহ পরস্পর যোগসাজশে শুভ বিশ্বাসের নামে জাল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বানিয়েছে। এরপর জাল পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে মামুনের নামে জাল দলিল করে দিয়েছে জালিয়াত চক্র। আসামিপক্ষ যেসব জাল দলিল ও পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে জমির মালিকানা দাবি করছে, তার কোনোটিই জমির মূল মালিক জাহের উদ্দিন সরকার করেননি। আসামিপক্ষের জেরার জবাবে তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল দলিল করে তার জমি আত্মসাতের চেষ্টা করেছে।

 

জাল দলিলে বিক্রেতা হিসেবে মো. জাহের উদ্দিন সরকারের নাম রয়েছে। অথচ যে তারিখে দলিলটি রেজিস্ট্রি হয়েছে, ওই দিন অন্য একটি ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি। এ বিষয়ে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, জাহের উদ্দিন সরকার সাজিয়ে অন্য কাউকে উপস্থিত করে দলিলটি তৈরি করা হয়েছে।

 

পিবিআই তদন্তকালে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে অংগুলাংক বিশারদের মাধ্যমে ওই দলিলের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই উল্লেখ করেছে, দলিলে উল্লিখিত জাহের উদ্দিন সরকার জাহের নামের ব্যক্তির প্রদত্ত আঙুলের ছাপটি মামলার বাদী জাহের উদ্দিন সরকার জাহেরের আঙুলের নমুনা ছাপগুলোর সঙ্গে মিল নেই। এতে প্রমাণিত হয় যে, ওই দলিলের দাতা তিনি নন। জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলটি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি আসামিরা ভুয়া দলিলমূলে নিজেদের জায়গার মালিক দাবি করে হুমকি ও হামলা করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই।

 

আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের পানাবে ২০১৪ সালের ১ অক্টোবরে আরএস ৩৫২ নম্বর দাগে ১৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মো. জাহের উদ্দিন সরকার (জহির)। একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর ওই এলাকাতে আরএস ৩৪১ নম্বর দাগে ৩৭.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি। ওই এলাকাতে মোট ৫১.৫০ শতাংশ জমির মালিক হন জাহের উদ্দিন সরকার। জমি ক্রয়ের পর তা দখলে নিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল ও টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। এমনকি ওই জমি প্রাইম ব্যাংকের শ্যামলী শাখায় মর্টগেজ প্রদান করেন। ২০২১ সালের ২০ মার্চ দুপুরে ওই জমি দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

 

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাক মিয়া, শুভ বিশ্বাস ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন- লাক মিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগম, রূপগঞ্জের মর্তুজাবাদের ফারুক মিয়া, একই গ্রামের আবু সাইদ, সাইফুল ইসলাম, গোলাকান্দাইলের আব্দুল মজিদ মিয়া, নাহাটি গ্রামের সফি উল্লাহ, প্রভাকরদীর আলী আকবর, দলিল লেখক সন্দিপ চন্দ্রসহ ১৩ জন।

 

সূত্রমতে, রূপগঞ্জ নিজের এলাকা আড়াইহাজার ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলাব্যাপী রয়েছে লাক মিয়া সিন্ডিকেট। জাল দলিল তৈরি, জবরদখলই তাদের কাজ। প্রভাবশালী লাক মিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি এমনকি হত্যার অভিযোগে মামলা রয়েছে। আড়াইহাজার এলাকায় ত্রাসের নাম লাক মিয়া। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধ পথেই রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version