নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ ঘটনার মূলহোতা মোশারফ হোসেন ভূইয়া ওরফে মোশাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে মোশা কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ভুরুঙ্গামারী সীমান্ত এলাকা থেকে মোশা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়।
র্যাব বলছে, মোশা বাহিনীতে মোশারফের নেতৃত্বে প্রায় ৮০ জন যুক্ত রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা রূপগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, অবৈধভাবে জমি দখল, হুমকি ও মাদক ব্যবসাসহ অর্থের বিনিময়ে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মোশাররফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য, চাঁদাবাজি, মাদক ও প্রতারণাসহ ৪০টির অধিক মামলা রয়েছে। এসব মামালায় বিভিন্ন মেয়াদে তিনি একাধিকবার কারাভোগ করেছেন তিনি।
র্যাব জানায়, গত ২৫ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নাওড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সৃষ্টি হয়। ওইসময় মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় শোডাউন, লোকজনকে মারধর ও গুলিবর্ষণ করেন।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করলে মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের আহত করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, মোশারফ স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ‘মোশা বাহিনী’ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে অর্থের বিনিময়ে ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তিনি।
তার সহযোগী দেলোয়ার হোসেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন। তার বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটিরও বেশি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনিও বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য