-->

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। ইন্টারপোলের তালিকায় ৬৩তম বাংলাদেশি তিনি। ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশের তালিকায় তার নাম পাওয়া গেছে। শুক্রবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। রেড নোটিশে রবিউল ইসলামের বয়স ৩৫ ও তার জন্মস্থান বাংলাদেশের বাগেরহাটে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। ২০১৮ সালে রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে যান রবিউল। সেখান থেকে ভারতের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে আশ্রয় নেন। ভারতীয় পাসপোর্টে তার নাম আরাভ খান। বতর্মানে তিনি দুবাইয়ে স্বর্ণের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

 

বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী রবিউল ইসলামের জন্ম বাগেরহাট জেলায়। যদিও তার বাড়ি গোপালগঞ্জে। এনআইডি অনুযায়ী, রবিউল ইসলামের জন্ম ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। পড়ালেখা করেছেন মাধ্যমিক পর্যন্ত। রবিউলের পিতা মতিউর রহমান, মা লাখি বেগম ও স্ত্রীর নাম রুমা। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা হচ্ছে, বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট উপজেলার কোদলিয়া ইউনিয়নের আড়ুয়াডিহি গ্রাম। রবিউলের বাবা মতিয়ার রহমান মোল্লা একসময় চিতলমারী উপজেলায় ফেরি করে সিলভারের হাড়ি-পাতিল বিক্রি করতেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে ওই ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে।

 

রবিউলের জালিয়াতির তথ্য এখন ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের সংগ্রহে রয়েছে। রেড নোটিশ জারির কারণে এসব তথ্য ইন্টারপোলের ১৯৪টি দেশের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইন্টারপোলের ডাটাবেসে অপরাধীদের ছবি বা স্কেচ, ক্রিমিনাল প্রোফাইল, ক্রিমিনাল রেকর্ড, ও জালিয়াতির তথ্য সংগ্রহে থাকে। এতে অপরাধ প্রতিরোধ ও তদন্ত করা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, একবার কারও বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হলে ইন্টারপোল তার সব সদস্য দেশকে ওই রেড নোটিশ-প্রাপ্ত ব্যক্তির দিকে নজর রাখতে বলে। তবে রেড নোটিশ কোন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়। এমনকি ইন্টারপোল কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয় যারা গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে পারে।

 

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের রবিউল ভারতের পাসপোর্ট নিয়েছেন আরাভ খান নামে। এ বিষয়ে ভারতকে মামলা করতে হবে। সেইসঙ্গে তা দুবাইকে অবগত করতে হবে। তাহলেই গ্রেপ্তার হতে পারে রবিউল ওরফে আরাভ। এছাড়াও দুবাইয়ের সদিচ্ছা থাকলে সহজেই গ্রেপ্তার হতে পারেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version