-->

দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১২তম: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১২তম: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল

বাংলাদেশে দুর্নীতি বেড়েছে। বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। আগের বছর ছিল ১৩তম। এক ধাপ কমেছে। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।

 

বাংলাদেশের স্কোর ১ পয়েন্ট কমে ২৬ থেকে ২৫ হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে এক ধাপ অবনমন হয়েছে। সূচক ২০২২–এ এ তথ্য উঠে এসেছে। আন্তর্জাতিক এ তালিকা বাংলাদেশে প্রকাশ করে টিআইবি। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি উপস্থাপন করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

 

বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির সার্বিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবছর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের ওঠানামা প্রতিবছরই হয়ে থাকে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক।

 

এসময় টিআইবির চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল, উপদেষ্টা (নির্বাহী ব্যবস্থাপনা) সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক (আউটরিচ কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর-ই আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের এ সূচক অনুযায়ী ১০০ এর স্কেলে বাংলাদেশে দুর্নীতির স্কোর ২৫, যা এর আগের বছর ২০১৪ ও ২০১৫ সালের অনুরূপ। যা গত বছরের তুলনায় ১ পয়েন্ট অবনমন।তালিকার সর্বনিম্ন থেকে গণনা অনুযায়ী ২০২১ এর তুলনায় অবনমন হয়ে ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। এবং সর্বোচ্চ থেকে গণনা অনুযায়ী ২০২১ এর তুলনায় অপরিবর্তিত ১৪৭তম। তালিকার নিম্নক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১২তম অবস্থানে রয়েছে গিনি ও ইরান।

 

সূচক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বশেষ এগার বছরে বাংলাদেশের স্কোর ঘুরেফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যেই রয়েছে। এই সময়কালে সূচকে বাংলাদেশের নিম্ন স্কোর ও অবস্থান সার্বিক কোনো অগ্রগতি নির্দেশ করে না। একই সঙ্গে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণেও অস্বস্তিকর স্থবিরতা প্রমাণ দেয়।

 

সিপিআই অনুযায়ী, বাংলাদেশ তথা অন্য কোনো দেশকেই দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বলা যাবে না। বরং সূচকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলকভাবে দুর্নীতির মাত্রা অধিক বা কম বলা যাবে। কারণ এ সূচক সংশ্লিষ্ট দেশে বিদ্যমান দুর্নীতির ধারণার ওপর ভিত্তি করে তুলনামূলক অবস্থান নির্ণীত হয়; কোনো দেশ বা জাতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে চিহ্নিত করে না।

 

১৯৯৫ সাল থেকে বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা প্রতি বছর এই সূচক প্রকাশ করা হয়। ২০০১ সালে বাংলাদেশ প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। তখন এ তালিকায় মোট ৯১টি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version