-->

একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি : তাকসিম এ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি : তাকসিম এ খান

এ পর্যন্ত একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করেননি দাবি করে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেছেন, ‘আমার যা উপার্জন তা সবার কাছে স্পষ্ট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করিনি।’

 

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি আরো বলেন, আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটি বিষয়। তাই এখান লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনো পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সম্পন্ন সৎভাবে উপার্জন করি যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট তাই তাদের টাকা পাঠানোর আমার কোন দরকার হয় না।’

 

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি এমন অনেক রিপোর্ট এর আগে প্রকাশ হয়েছে; কিন্তু আমি তো কোনো দুর্নীতি করিনি। তাই সেই সব অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে রিপোর্ট করা হলো সেটাও ভিত্তিহীন। যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোনো বাড়ি নেই। সেখানে ১৪টি বাড়ির ডাহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো।

 

সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে মধ্যে টাকা পাঠায়।’

 

তিনি আরো বলেন, ‘যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য যে ডাহা মিথ্যা প্রতিবেদন করলো, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করবো। এমন নয় যে আমি এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছি বরং আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ঢাকা ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। আমি অনেক আগে থেকেই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। স্ত্রী-সন্তান সেখানে অনেক ভালো মানের চাকরি করে। আমি এখানে একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি। ফলে টাকা সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) পাঠানোরও কোনো প্রশ্ন আসে না।’

 

ঢাকায় কোনো সম্পত্তি, জমি, বাড়ি কেনার কখনই কোনো দরকার হয়নি জানিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়ির দিক থেকে অনেক সম্পত্তি, জমি পেয়েছেন। সে কারণে আমার ঢাকায় কোনো কিছু কেনার কখনো দরকার হয়নি।

 

এ ছাড়া আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। আমি যা বেতন পাই সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে আমাদের ভালোভাবে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনো দরকার হয় না আমার।’

 

এদিকে ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করা দুটি অভিযোগের অনুসন্ধানের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলেছেন আদালত।

 

সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version