-->

সমন্বয়করাও কোন খোঁজ খবর নেয়নি : শহীদ মারুফের পিতা

ঢাবি প্রতিবেদক
সমন্বয়করাও কোন খোঁজ খবর নেয়নি : শহীদ মারুফের পিতা

যেসব সমন্বয়কদের ডাকে আন্দোলনে আমার ছেলে শহীদ হয়েছে, সরকার পতনের পর তারাও আমার পরিবারের কোনো খোঁজ খবর নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত মারুফ হোসেনের পিতা শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় নাগরিক কমিটি কর্তৃক আয়োজিত 'নাগরিক সমাবেশে' তিনি এ কথা বলেন।

নাগরিক সমাবেশে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের চিকিৎসা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কথা তুলে ধরেন নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা।

নিহত মারুফ হোসেনের পিতা বলেন, আমার ছেলে গত ১৯ জুলাই বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে আহত হলে তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ গতিরোধ করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে পারলেও আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারিনি। ডিবি পুলিশ আমার বাসায় যায়। আমাকে জামাত শিবির বলে ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করে। ৫ আগস্টের পর ২৮ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করি কিন্তু এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

তিনি বলেন, আমি কাদের কাছে বিচার চাইবো? যেসব সমন্বয়কের ডাকে আমার ছেলে আন্দেলনে জীবন দিয়েছে সরকার পতনের পর তারাও আমার কোন খোঁজ নেয়নি। এসময় তিনি ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চান।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দলের নেতারা এখন নিজেদের দল গুছাতে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহব্বায়ক নাসিরউদ্দীন পাটুয়ারী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ছাত্ররা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যেসব দলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল তারাও নিজেদের দল গোছাতে ব্যস্ত।আওয়ামী সরকারের সংবিধান বাতিল করে দ্রুত নতুন সংবিধান করতে হবে। লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে হবে। যাদের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা চালানো হয়েছে তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই করতে হবে। আমরা রাজনীতির মাঠে প্রতিযোগিতা চাই। আর কোনো প্রতিহিংসা চাইনা। তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করেন যেন দ্রুত হত্যাকারীদের বিচার করা হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই মাস পরও শহীদদের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া এবং আহতদের সুচিকিৎসা প্রদানের মতো সরকারের কোন পদক্ষেপ দেখিনি। তিনি বলেন, যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তারা এখনো বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েই চলেছে এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে যাচ্ছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে আখতার বলেন, শত শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আছে এই বাংলাদেশ। শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করবেন না। যাদের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে সে সকল সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দেওয়া, শহীদদের পরিবারের দেখাশোনা ও আহতদের সুচিকিৎসার আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version