সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বেশির ভাগ শিল্পকারখানা খোলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এসব কারখানায় শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। তবে আজ সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে বন্ধ রয়েছে ২২টি শিল্পকারখানা। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি রয়েছে ছয়টি কারখানায় এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬–এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৬টি কারখানা।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ সূত্রে জানা যায়, বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে ওষুধ, চামড়াজাতপণ্য প্রস্তুতসহ বিভিন্ন ধরনের কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকেরা উপস্থিত হলেও কাজ বন্ধ রেখে বসে আছেন। আজ সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকেরা কারখানায় উপস্থিত হন। অধিকাংশ কারখানায় কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। তবে মেডলার, সেতারা, ব্যান্ডো অ্যাপারেলসসহ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে কাজ বন্ধ রেখেছেন বলে জানা গেছে। যদিও সমস্যা সমাধানে সেখানে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে নজদারি। আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় বিভিন্ন কারখানার সামনে সেনাবাহিনী, এপিবিএন ও পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সড়কে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, শ্রমিকরা কাজ করতে আগ্রহী, তাছাড়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও অধিকাংশ কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। কাজেই যেসব কারখানা বন্ধ আছে, আমি তাদের মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ করবো আপনারা দ্রুত কারখানা খুলে দিন, শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করুন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করুন। কারখানা বন্ধ রাখা কোন সমাধান না।
তিনি বলেন, “এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে যেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, এই পরিবেশেও যদি মালিকরা শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান খুঁজতে না পারেন তবে সেটি হবে মালিকদের ব্যার্থতা।”
শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, “এখন পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, হামীম, শারমীনসহ অন্যান্য সকল কারখানায় কার্যক্রম চলমান আছে, শ্রমিকরা কাজ করছেন।”
তিনি বলেন, “এর বাহিরে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় ১৬টি এবং ৬টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে।” আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর আওতাধীন এলাকায় ১৮৬৩টি কলকারখানা রয়েছে, যার বেশিরভাগই পোশাক কারখানা। তবে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে এ অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল তীব্র অস্থিরতা। তবে এ সপ্তাহের শুরু থেকে শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বৃহস্পতিবারও (১৯ সেপ্টেম্বর) সেটি অব্যাহত আছে। বেশিরভাগ কারখানায় শ্রমিকরা স্বতস্ফুর্তভাবে কাজ করছেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য