-->

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ভোটাররা স্বপ্ন দেখছেন হেলাল উদ্দিনকে নিয়ে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে ভোটাররা স্বপ্ন দেখছেন হেলাল উদ্দিনকে নিয়ে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন।

আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বিরামহীন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১/১১‘র কারানির্যাতিত নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় বীর মরহুম আব্দুল কুদ্দুস মাখনের আপন ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন। রাজনীতিক পরিবারের সন্তান হেলাল উদ্দিনকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন সাধারণ ভোটাররাও। আগামী ৫ জুনের নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মনমাতানো মাইকিং‘এ ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

 

সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া ৫ জনের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। দেশে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গুঞ্জনের শুরুতেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেলাল উদ্দিন চেয়ারম্যান প্রার্থীতার ঘোষণা দিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। সেই থেকে নিরবে-নিভৃতে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাকে স্মার্ট বাংলাদেশের মডেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

 

উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সরকারের দেওয়া সব ধরণের সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর; হেলাল উদ্দিন এখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটাররাও রাজনৈতিক পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দেখতে পেয়ে আপ্লুত। তারপক্ষে অনেক ভোটাররা নেমেছেন প্রচারণায়। সবমিলিয়ে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী প্রচারণা বেশ তুঙ্গে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে।

 

গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। গতবারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দু'জনের কেউই এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। বিএনপিও এই নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের মাঝেই হবে নির্বাচনী লড়াই। আর এ কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ৪ সদস্যের অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মাখনের ছোট ভাই আলহাজ্ব মো. হেলাল উদ্দিন বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে উঠা হেলাল উদ্দিন ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের। পড়াশুনার পাশাপাশি ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করার পর আর পিছনে তাকাননি।

 

রাজপথের সাহসী সৈনিক হিসেবে যুবলীগ, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে গেছেন। সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া মান্নান-নানক পরিষদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাতীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য এবং সুলতান-আ: রহমান পরিষদের সহকারি সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সময় দুইবার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণসহ পুলিশী নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৮৫ইং থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৮৬ইং সনেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার সময় গ্রেফতার হয়ে ২ মাস কারাবরণ করেন। এরপর তিনি জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক-১ এবং সর্বশেষ টানা ২য় বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ বার গ্রেফতারসহ ২০০৭ইং সনে ১/১১ সেনা সরকারের সময় যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে ৪ মাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের এ কনিষ্ঠ সদস্য।

 

আলহাজ্ব হেলাল উদ্দিন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে এসএসসি, সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) ও এমএ কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করে রাজনীতিতে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ স্থান থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। হেলাল উদ্দিন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, 'নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলাকে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব। নিজেকে সদর উপজেলাবাসির কল্যাণে বিলিয়ে দেব। বিশেষত প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের কাছে সরকারের দেয়া সাহায্য-সহযোগিতার সবটুকু পৌঁছে দিব ইনশাআল্লাহ'।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version