-->

কক্সবাজার শহর ইজিবাইকের দখলে, গণপরিবহন চালুর দাবী

এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, কক্সবাজার
কক্সবাজার শহর ইজিবাইকের দখলে, গণপরিবহন চালুর দাবী

কক্সবাজার শহর এখন ইজিবাইক বা টমটমের দখলে। বাড়ছে যানজট ও দূর্ঘটনা। বেড়েছে জনদূর্ভোগ।আর পর্যটক ও শহরবাসীকে গুনতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। তাই গণপরিবহন চালুর দাবী শহরবাসীর। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান গণপরিবহন চালুর বিষয়টি ভেবে দেখা হচ্ছে।

 

পর্যটন নগরীর প্রধান যানবাহন ইজিবাইক (টমটম) নিয়ে চলছে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। পৌর শহরে চলাচল করছে ধারণ ক্ষমতার ১০ গুণেরও বেশী ইজিবাইক। পৌর শহরে এই অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচলের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার থেকে ১২শ’। কিন্তু সড়কে চলাচল করছে ১০ হাজারেরও বেশী। তাই ধারণ ক্ষমতার ১০ গুণ বেশী। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও রোহিঙ্গারা অবাধে সড়কে ইজিবাইক চালালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই দুর্ঘটনা ও হয়রানি বাড়ছে দিন দিন।

 

ইজিবাইকের চাপে পর্যটন নগরীর জনজীবন ক্রমেই হয়ে উঠছে দুর্বিসহ। শুধুমাত্র ইজিবাইকের চাপেই যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার। উপরন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও রোহিঙ্গারাই চালাচ্ছে ইজিবাইক।

 

সূত্র জানিয়েছে, যাদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই কোন গাড়ীর রেজিস্ট্রেশন। নৈরাজ্য চলছে ইজিবাইক লাইসেন্স নিয়েও। অসাধুরা অদক্ষ চালকদের একটি লাইসেন্স ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে ৬ হাজার টাকা করে। অন্যদিকে এক ব্যক্তির নামেই ইস্যূ রয়েছে অনেকগুলো লাইসেন্স।

 

এছাড়া একটির লাইসেন্সের বিপরীতে অবাধে চলছে আরও কয়েকটি ইজিবাইক। পৌরসভা কর্তৃক ইস্যুকৃত নাম্বার প্লেটগুলো ব্যবহার হচ্ছে একাধিক ইজিবাইকে। এভাবেই দিন দিন সড়কে ইজিবাইকের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়ছে। অদক্ষ চালকরা নিয়ম-নীতি না মেনে মাসিক ও দৈনিক ভাড়ায় চালাচ্ছে ইজিবাইক। তাই সড়কে বেড়ে গেছে দুর্ঘটনা, জনজীবনে দুর্ভোগ ও পর্যটক হয়রানি।

 

এনিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পর্যটন নগরীর প্রধান যানবাহন টমটমের নৈরাজ্য রোধে কক্সবাজার পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বয়হীনতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা ও পর্যটন বান্ধব নগরী গড়ে তুলতে ইজিবাইকের (টমটম) নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৩ হাজার লাইসেন্সের বিপরীতে ১০ হাজারেরও বেশী ইজিবাইক চলাচল করছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও রোহিঙ্গা চালক এবং ধারণ ক্ষমতার মধ্যে ইজিবাইক চলাচলে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান তিনি।

 

এদিকে, যানজটমুক্ত পর্যটন নগরী গড়তে ইজিবাইকের এই নৈরাজ্য অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন কক্সবাজার সচেতন পৌরবাসী।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version