-->
শিরোনাম

সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে হামলা

জামালপুর প্রতিনিধি
সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে হামলা
ক্যাপশন: বকশীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে হামলার ঘটনায় নামীয় ৭ জনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান মোহাম্মদ তামিম। বৃহস্পতিবার তিনি ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান। একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলিল লেখকরা সাব-রেজিষ্ট্রারের অপসারণ দাবি ও কর্মবিরতি পালন করছেন।

 

জানা যায়, বকশীগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে বুধবার দাতা রেহেনা বেগম ৫৮ শতাংশ জমি তার ছোট বোন রুবিনা আক্তারের কাছে বিক্রি করেন। বিক্রিত জমি দলিল করার জন্য দলিল লেখক শহীদুল্লাহর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেরি করতে যান। দলিল লেখক শহীদুল্লাহ সাব-কবলা দলিল না করে সরকারের রাজস্ব ফাকিঁ দিয়ে হেফা দলিল হিসেবে দলিল সম্পাদনা করার জন্য সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান মোহাম্মদ তামিমের এজলাসে দাখিল করেন। দলিল যাছাই বাছাই করে সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান জমি দাতা রেহেনা বেগমকে জিজ্ঞাসা করেন জমির টাকা বুঝিয়া পাইয়াছেন কিনা। দাতা রেহেনা বেগম এজলাসে সবার সামনে সাব-রেজিষ্ট্রারকে জানান, বিক্রিত জমির সাকুল্য টাকা বুঝিয়া পাইয়াছেন। পরে সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান জমি দাতা রেহেনা বেগমকে জানান টাকা বিনিময়ে জমি হস্তান্তর হলে দানপত্র বা হেবা দলিল হয়না। তা সাব-কবলা দলিল করতে হয়। তাই সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান দলিলটি সংশোধন করে সাব-কবলা দলিল করার নির্দেশনা দেন।

 

পরবর্তীতে দলিল লেখক পরিবর্তন করে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মোহাম্মদ আলী হাসান একই দলিল সাব-কবলার পরিবর্তে দানপত্র বা হেবা দলিল সম্পাদনা করার জন্য পুনরায় এজলাসে দাখিল করেন। সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান দলিল সম্পাদনার পূর্বে আবারও জমির দাতা রেহেনা বেগমকে জিজ্ঞাসা করেন জমির টাকা বুঝিয়া পাইয়াছেন কিনা। জমির দাতা আবারও এজলাসে সবার সামনে বলেন, বিক্রিত জমির টাকা বুঝিয়া পাইয়াছি। তখন সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান মোহাম্মদ তামিম দলিল সম্পাদনা না দলিল লেখক খন্দকার মোহাম্মদ আলী হাসানকে দলিলটি ফেরত দেন। এরপরেই অশ্লীল বাকবিতন্ড ও সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে।

 

হামলায় এজলাসে থাকা জমির দলিল, জমির দলিলের অবিকল নকল, ৫২ ধারার রশিদবইসহ অন্যান্য দাপ্তরিক কাগজপত্র ছিঁেড় ফেলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী সাব-রেষ্ট্রিারের খাস কামরার দরজায় লাথি মেরে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে খাস কামরায় সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান মোহাম্মদ তামিম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানার পুলিশ সাব-রেজিষ্ট্রারকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার ও হামলায় ক্ষয়ক্ষতির আলামত পরির্দশন করেন।

 

এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আহাদ খান জানান, ঘটনার বিষয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার আব্দুর রহমান লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে আলী হাসান খন্দকার, তার ছেলে লিটু মিয়া, ভাগিনা মোফাজ্জল হোসেন সহ নামীয় ৭ জনকে আসামী করেছেন। অজ্ঞাত নামা আসামী ১০/১৫ জন। অভিযোগের বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version