-->

ভিড় বেড়েছে পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানে

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
ভিড় বেড়েছে পুরোনো শীতের কাপড়ের দোকানে
ক্যাপশন: রেলপ্লাজা খ্যাত রেললাইনের ওপর শীতের পোশাকের দোকান

বৈরী আবহাওয়ায় হালকা শীতেই রাজবাড়ী জেলা শহরে অস্থায়ীভাবে ‘রেলপ্লাজা’ নামক খ্যাত দোকানগুলোতে এবারও শীতের গরম পোশাক বিক্রি জমে উঠেছে। বিত্তশালীদের অভিজাত বিপণি বিতানে পদচারণা দেখা গেলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা স্বল্প দামে শীতের পোশাক কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন অস্থায়ী পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোয়।

 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলপ্লাজা খ্যাত রেললাইনের ওপর অস্থায়ী পুরোনো শীতের পোশাকের দোকানগুলো এ বছর গড়ে উঠেছে রাজবাড়ী কাপড় বাজারের মৃধা মার্কেট সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায়। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন শ্রেণির আয়ের মানুষের শীতে গরম পোশাকের একমাত্র ভরসা রাজবাড়ীর শীতের পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলো।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাজবাড়ী ১ নম্বর রেলগেট পাড় হয়ে বাজারের প্রবেশ পথে মৃধা মার্কেট সংলগ্ন ফাঁকা জায়গায় এ বছর পুরোনো শীতের পোশাকের অস্থায়ী দোকানগুলো বসেছে। অস্থায়ী মার্কেটে এখন পর্যন্ত ১৮টি দোকানে বিক্রি হচ্ছে পোশাক। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁক-ডাকে মুখরিত পুরো এলাকা। যেখানে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা এসেছেন স্বল্পদামে পছন্দের গরম কাপড় কিনতে।

 

অস্থায়ী এসব দোকানে কোরিয়া, তাইওয়ান, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের পুরোনো ব্লেজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, মাফলার, টুপি, হুডি, ফুলহাতা গেঞ্জি, কম্বলসহ পুরুষ, নারীসহ ছোট বাচ্চাদের শীতবস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে প্রতিদিন দোকান প্রতি গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার কাপড় বিক্রি হলেও এ বছর শীত দেরিতে আসায় বেচাকেনা কম হচ্ছে। শীত বাড়লে শীতের পোশাকের বেচাকেনা বাড়বে।

 

জানা গেছে, প্রতি শীতের মৌসুমে অক্টোবর মাসের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ মাস পুরোনো এসব শীতের পোশাক বেচাকেনা চলতে থাকে। প্রতিদিন সকাল থেকে দোকানগুলো খোলা থাকলেও বিকেল থেকে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কেনাকাটার ভিড় থাকে চোখে পরার মতো।

 

শীতের পোশাক ক্রেতা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে একটি মানসম্মত শীতের পোশাক কিনতে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা লাগে। কিন্তু এখানে পুরোনো শীতবস্ত্র হলেও স্বল্প দামে একটি ভালো শীতের পোশাক কিনতে পারি। এখানে এক্সপার্ট কোয়ালিটির ভালো ভালো জ্যাকেট রয়েছে। দামে পোষালে কিনে নিয়ে যাব।

 

শীতের পোশাক ক্রেতা রিকশাচালক মো. আলমগীর শেখ বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে, নতুন শীতের পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই আমার। তাই মেয়ের জন্য ৩০০ টাকা দিয়ে শীতের পোশাক কিনেছি। আমাদের মতো অতি দরিদ্রদের জন্য একমাত্র ভরসা এই পুরোনো শীতের পোশাকের দোকানগুলো।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version