সরবরাহ কম ও চাহিদা বেশি থাকায় বরিশাল নগরীতে গত দুই মাস ধরে আইভি স্যালাইনের সংকট থাকলেও বর্তমানে তা চরম আকার ধারণ করেছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান সোহেল বলেন, বরিশালে বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেশি। আর ডেঙ্গু রোগী ছাড়াও অস্ত্রপচার, অর্থপেডিক্স, গাইনি ও শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য আইভি স্যালাইন প্রয়োজন।
প্রতিদিন অন্তত ৬-৭ হাজার ব্যাগ স্যালাইন প্রয়োজন হয়। কিন্তু ২-৩ হাজারের বেশি স্যালাইন সরবরাহ নেই। বড় বড় ফার্মেসি ছাড়াও স্যালাইন পাওয়া যায় না। ৮৫ থেকে ৯০ টাকা দামের স্যালাইন ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
নিজাম নামের একজন রোগীর স্বজন জানান, সকালে নগরীর সদর রোডের এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সব ফার্মেসিতে ঘুরেও এনএস স্যালাইন পাননি। শুধু ডেঙ্গু রোগীই নয়, হাসপাতালে কোন রোগী এলে সবাইকেই প্রথমে স্যালাইন দেয়া হয়।
প্রতিদিন গড়ে শেবাচিম হাসপাতালে দেড় থেকে দুই হাজার রোগী থাকে। এসব রোগীকে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি স্যালাইন দিতে হয়। হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন একটি করে দিলেও বাকি প্রয়োজনীয় স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়। কিনতে এসেই বিপাকে পড়তে হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। বাইরে সংকট থাকলে সেটা ওষুধ প্রশাসন ভালো বলতে পারবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য