-->

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনে চরম ভোগান্তি, গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভ

মীর বাবুল, ময়মনসিংহ
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবনে চরম ভোগান্তি, গ্রাহকের মাঝে ক্ষোভ
ময়মনসিংহে রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্র

সারাদেশের মতো ময়মনসিংহেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। এতে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। এ নিয়ে গ্রাহকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের অধীনে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।

 

পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিতরণ করে। ময়মনসিংহ, জামালপুর ও টাঙ্গাইলে সাতটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।

 

প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা দিনে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট এবং রাতে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। কিন্তু বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াট। পাওয়ার গ্রিড অব কোম্পানি থেকে পিডিবি শিডিউলের মাধ্যমে পল্লীবিদ্যুৎকেও বিদ্যুৎ বিতরণ করে। ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে জামালপুরের শিকদার গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি পারিবারিক বিরোধে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।

 

ইউনাইটেড জামালপুর নামের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ৩১৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার। তবে সেখানে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন কমে গেছে প্রতিষ্ঠানটির। এ ছাড়া ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জ এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ-সংলগ্ন রুরাল পাওয়ার কোম্পানির (আরপিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ২১০ মেগাওয়াট।

 

গ্যাস সংকটের কারণে ২০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। ময়মনসিংহের সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গড়ে ৩ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। টাঙ্গাইলের ডরিন পাওয়ার জেনারেশন এবং পল্লি পাওয়ার নামের ৪৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৩৪ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।

 

ফলে এ অঞ্চলের চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে আশুগঞ্জ ও কালিয়াকৈর থেকে। অন্তত ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির ১৩২ কেভি দীর্ঘ সরবরাহ লাইনের কারণে গ্রাহক প্রান্তে লো-ভোল্টেজ হচ্ছে। এতেও বাড়ছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

 

ময়মনসিংহ নগরী দীঘারকান্দা এলাকার বাসিন্দা শামছুল মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয়। তীব্র গরমে আমার শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, রাত-দিন মিলে গড়ে ২০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন ঠিক রাখতে পিডিবির কিছু বিদ্যুৎ শহর থেকে পল্লিবিদ্যুৎকে দেয়া হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version