-->

গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি-লুটপাট

দিনাজপুর প্রতিনিধি
গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি-লুটপাট

দিনাজপুরের কালিকাপুর তেলিপাড়া ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নে গরুর ঘাষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

 

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আবু কালামের বাড়ির পূর্ব পাশে ফুলবন সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার জমি লিজ নিয়ে জমিতে নেপোলিয়ান ঘাসের চাষ করেন ও বাজারজাত করেন।

 

জমিতে ঘাসের চাষ করার পর থেকেই প্রায় সময় প্রতিবেশী মো. সাবুল হোসেনের পুত্র আরিফ, মৃত খয়রুদ্দিনের পুত্র ইয়াকুব আলী, মোছা. ফাতেমা বেগম, ইয়াকুব আলির স্ত্রী হালিমা বেগম গংদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে এবং তাদের গৃহপালিত গরু ওই জমিতে ঘাস খাওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়।

 

প্রায়ই তারা বিভিন্নভাবে ক্ষতিসাধন করে আসছে, গত ১ জুন ২০২৩ সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় আবু কালামের লিজকৃত জমিতে ইচ্ছাকৃতভাবে আবাদি ঘাসের জমিতে তাহাদের গরুগুলোকে ছেড়ে দেয়, তাদের গরু বেঁধে রাখতে অনুরোধ করেন আবু কালাম। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা দেখিয়ে দিবে বলে গরু নিয়ে চলে যায়, পরদিন ২ জুন-২৩ বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় পরিকল্পিতভাবে ১০-১২ জন লোক আবু কালামের বসতবাড়িতে প্রবেশ ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

 

আনুমানিক ৫৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে এবং আলমারির ভেতর রক্ষিত সোনার ১ ভরি ওজনের হাতের বালা, কানের ঝুমকা যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা প্রদান করলে জমি ঘেরাও করার নেটের নায়লনের জাল দিয়ে শরীরে পেঁচিয়ে বেঁধে ফেলে আবু কালামকে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা ব্যাপক মারধর করা হয়।

 

তার ভাই আব্দুস সালাম, ৪ বছর বয়সের ভাতিজা আলিফ দৌড়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। মা ওমেদা বেওয়া, ভাগনি মোছা. মিমি তাদেরও বেধড়ক মারধর করলে রক্তাক্ত জখম হন তারা। এলাকাবাসী এগিয়ে এলে সেখান থেকে তারা সটকে পড়ে।

 

এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ৪ বছরের শিশু আলিফ ও আবু কালাম আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

 

কোতোয়ালি থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম তানভির জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version