-->

গাইবান্ধায় পাকতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লটকন

রিফাতুন্নবী রিফাত, গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধায় পাকতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লটকন

আম জাম লিচু এবং কাঁঠালের পাশাপাশি গাইবান্ধায় পাকতে শুরু করেছে সুস্বাদু ও পুষ্টিগুন সম্পন্ন টক মিষ্টি রসে ভরা মৌসুমি ফল লটকন। লটকন ছোট-বড় সবারই পছন্দের। ফলটির নাম শুনলেই যেন সবার জিভে জল চলে আসে।

 

গাইবান্ধার চাষিরা অপ্রচলিত এ ফল চাষে দিনদিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সম্প্রতি তাদের কাছে লাভজনক ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। তেমন কোনো পরিচর্চা ছাড়াই বাগানে উৎপাদিত হয় এ ফল।

 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মাঠেরপাড় গ্রামের চাষি মাহবুবার রহমান মবু ভোরের আকাশকে জানান, স্বল্প ব্যয় আর নামমাত্র পরিচর্চায় গাছে অভাবনীয় ফলন আসায় দিন দিন বাড়ছে লটকন চাষ। এখন বাজারে লটকন বিক্রি করছেন তারা। ভালো দাম পেয়ে চাষিরা সবাই খুশি।

 

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামসুন্নাহার ইয়াছমিন সাথি ভোরের আকাশকে জানান, বিশ্বের প্রায় সাত শতাধিক অপ্রচলিত ফলের মধ্যে লটকন অন্যতম। লটকন একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। লটকনের রস মিষ্টি ও স্বাদ সামান্য টক। দক্ষিণ এশিয়ার এ ফল ভারত ও মালয়েশিয়ায় প্রচুর উৎপাদিত হয়। এটি দেশের প্রায় সবর্ত্রই চাষ হয়ে থাকে। বর্তমান বাজারে লটকনের চাহিদা ও দাম ভাল থাকায় অনেকেই লটকন বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন।

 

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ভজন কুমার সাহা জানান, লটকন ফলে আছে ভিটামিন সি, থায়ামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে লটকন খেলে মুখে ঘা হবে না। শরীর সুস্থ রাখতেও ফলটি বিশেষ কাজের। এর জলীয় অংশ রক্তশূন্যতা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

 

এটি ত্বকের রুক্ষতা কমায়, শরীরে পানির সমতা ঠিক রাখে। এটি আর্থরাইটিস, ফোড়া ও চর্মরোগের জন্য দারুণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও ভালো কাজ করে। লটকন খেলে বমির ভাব কমে, খাওয়ায় রুচি বাড়ে। মানসিক চাপ কমাতেও ফলটি বিশেষ কার্যকর। তৃষ্ণা নিবারণে লটকন অতুলনীয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version