-->
মধ্যপাড়া পাথরখনি

লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাথর উত্তোলনের নয়া রেকর্ড

মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাথর উত্তোলনের নয়া রেকর্ড

দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া পাথরখনি পরিচালনা, উৎপাদন এবং উন্নয়নে জিটিসির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা চুক্তির পর গত মে মাসে খনি থেকে মাসিক উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা আবারো ছাড়িয়ে গেছে। পাথর উত্তোলনের আরো একটি নয়া মাসিক রেকর্ড গড়ল জিটিসি।

 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকে গত মে মাসে ১ লাখ ৩৮ হাজার টনের ওপরে সর্বোচ্চ পাথর উত্তোলন করে খনির বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। ২০০৭ সালের পাথরখনির বাণিজ্যিক উত্তোলনের শুরু থেকে ইতোপুর্বে এক মাসের মধ্যে এতো পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা কখনোই সম্ভব হয়নি।

 

বর্তমান চুক্তির সময়কালে ধারাবাহিকভাবে প্রায় প্রতিমাসেই জিটিসি পাথর উত্তোলনে নিজেদের গড়া রেকর্ড দিয়ে নতুন মাইলফলক স্থাপন করে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।

 

জানা গেছে, বর্তমান সরকার ইতোপূর্বে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় লোকসানে চলা পাথরখনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে উদ্যোগ নেয়।

 

এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর সঙ্গে খনি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উৎপাদন এবং পরিচালনা চুক্তি হয়। জিটিসি খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পাথর উত্তোলন শুরু করে। প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা, অসহযোগিতাসহ নানা প্রতিকূলতার মাঝেও জিটিসি ২০১৮-১৯ অর্থ বছর থেকে টানা ৪ অর্থ বছরে খনিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করে। এর ফলশ্রুতিতে পাথর উত্তোলনে জিটিসির এ সফলতার পর প্রথম দফা চুক্তির মেয়াদ শেষে জিটিসির সঙ্গে নতুন করে আবারো খনি কর্তৃপক্ষের ৬ বছরের জন্য চুক্তি হয়।

 

দ্বিতীয় দফা চুক্তির প্রথম বছরে নির্ধারিত সময়ে বাৎসরিক উত্তোলনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ পাথর উত্তোলন করে জিটিসি তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। মধ্যপাড়া পাথরখনি থেকে উৎপাদনের মাসিক এই নতুন রেকর্ড সৃষ্টির ফলে খনিটি বর্তমানে সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।

 

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খনি সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের অর্থনৈতিক এবং জীবন মানের প্রভৃত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সহযোগি হিসেবে মধ্যপাড়া পাথরখনির অবদান অব্যাহত রাখতে খনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে জার্মানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) এর মাধ্যমে মধ্যপাড়া পাথরখনি দেশের অর্থনীতির একটি মডেল হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version