-->

বাউফলে যে ছবি নিয়ে তোলপাড়

মো: ফিরোজ, বাউফল (পটুয়াখালী)
বাউফলে যে ছবি নিয়ে তোলপাড়

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করার একটি স্থির চিত্র রবিবার রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

ছবিটি নিয়ে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে লাল রংয়ের গেঞ্জী মাথায় টুপি ও জিন্সের প্যান্ট পরিহিত এক যুবক দেশীয় অস্ত্র রামদা উচিয়ে সড়কের ওপর শুয়ে পড়া সাদা রংয়ের পায়জামা-পাঞ্জাবী ও কালো রংয়ের মুজিব কোট পরিহিত এক ব্যক্তিকে কোপাচ্ছেন।

 

তার পিছনেই প্যন্ট-শার্ট পড়া মাথায় লাল ক্যাপ ও হাতে ঘড়ি পরিহিত অন্য এক যুবক লাঠি নিয়ে আঘাত করার জন্য এগিয়ে আসছেন। অন্য আরো ৪/৫ লোক লাঠিসোটা হাতে হামলা করার জন্য ছুটে আসছেন। ছবিটি ষ্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে একজন ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দ্যেশে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হচ্ছে।

 

আর সড়কের ওপর কাত হয়ে শুয়ে আত্মরক্ষা অবস্থায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিই হলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার যা দলীয় নেতা-কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন । পাওয়া গেছে লাল গেঞ্জি গায়ে মাথায় টুপি রামদা হাতে যুবকের পরিচয়ও।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, ফেসবুকে প্রকাশিত ছবির যুবকটি হচ্ছে কালাইয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আসমত আলী হাওলাদারের ছেলে মো. শফিকুর রহমান (শফি)।

 

তিনি কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে আসছে।

 

এ ব্যাপারে শফি হাওলাদারের মুঠোফোনে(০১৭১৩৯৬৪২৪০)একাধিকবার কল করা হলেও মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া সম্বব হয়নি। তবে মো. কামরুজ্জামান বাচ্চু নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডিতে ছবিটি পোষ্ট করা হলে সেখানে শফি হাওলাদার নিজে কমেন্টস করেন, ‘আর এডিট করা যায় না’।

 

উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর কর্মসুচী পালনকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজের উপস্থিতিতেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এমপি সমর্থিতরা।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version