-->

ফেরিঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা

বরগুনা প্রতিনিধি
ফেরিঘাটে বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অতিষ্ঠ স্থানীয়রা
(বামে) ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন; (ডানে) ফেরিঘাটে চাঁদাবাজি

বরগুনার ফেরি ঘাটগুলোতে সিরিয়ালের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে স্থানীরা। এ নিয়ে ঘটছে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা।

 

সম্প্রতি আমতলীর ফেরিঘাটে চাঁদা ওঠানোকে কেন্দ্রকরে এমনই এক সংঘর্ষে আহত হন শেখ মোহম্মদ আলী নামের এক ব্যক্তি। বিষয়টি জানার পর রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারী নামের দুইজন চাঁদাবাজকে আটক করে পুলিশ।

 

কিন্তু আটকের কয়েক ঘণ্টা পর পুরো চিত্রই পাল্টে যায়। দুই চাঁদাবাজ থানায় আটক থাকা অবস্থাতেই আহত শেখ মোহম্মদ আলীকেও থানায় ডাকা হয় এবং উল্টো তাকে ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে চাঁদাবাজদের ছেড়ে দেয় আমতলী থানার এসআই আব্দুল বারেক।

 

সোমবার দুপুরে ভোরের আকাশ পত্রিকার কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন শেখ মোহম্মদ আলী নামের ওই ভুক্তভোগী। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি। তার অভিযোগ, স্থানীয় একটি শ্রমিক সংগঠনের নামে রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারীসহ ১০-১২ জন আমতলী ফেরিঘাটে ফেরি পারাপার হতে আসা গাড়ি ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে চাঁদা তোলে।

 

এ কর্মকান্ডে গাড়িচালক ও ঘাট এলাকার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। তিনি বলেন, ২৫ মার্চ ঘাট সংলগ্ন ব্যবসায়ী জিয়াউর, মোশাররফ, শেখ ইমরান ও আমি অবৈধ এই চাঁদা আদায় বন্ধের প্রতিবাদ করি। চাঁদাবাজরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা করলে আমি, শেখ ইমরান ও পাশে থাকা তার নানি পিয়ারাসহ আরো কয়েকজন আহত হই।

 

পরে আহতরা যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তখন খবর পেয়ে চাঁদাবাজ রানা ও হৃদয়কে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। এর এক ঘণ্টা পর থানায় ডেকে উল্টো আমাকেই ভয় দেখায় ওই থানার এসআই আব্দুল বারেক এবং একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আটক চাঁদাবাজদের ছেড়ে দেন।

 

শেখ মোহম্মদ আলী আরো বলেন, পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই আমাকে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে চাঁদাবাজরা। পুলিশ সাহায্য না করলে এমনটা হতো না। তাই চাঁদাবাজ ও এদের রক্ষাকারী এসআই এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

 

আমতলী থানার এসআই আব্দুল বারেক বলেন, সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। মীমাংসার স্বার্থে দুই জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আমতলী ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় সকল চাঁদা আদায় বন্ধ।

 

কোনো চাঁদাবাজ আটক কিংবা সাদা কাগজে স্বাক্ষরের বিষয় আমার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version