-->

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৩, আহত ১০

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৩, আহত ১০

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জন নিহত হয়েছে। এই দুই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন।

 

বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে প্রাইভেটকারের যাত্রী ভাই ও বোন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বোনের স্বামী হুমায়ূন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা চকপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহত দুজন হলেন সিয়াম ও তার বোন কুহেলী আক্তার। তারা লালমনিরহাটের বাসিন্দা। কুহেলীর স্বামী হুমায়ুন বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার হোসেন আহম্মেদের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর (মেডিকেল) পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহম্মেদ।

 

তিনি জানান, প্রাইভেট কারে এই তিনজন রংপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই তিনজনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে ভাই ও বোনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আর বোনের স্বামী হুমায়ূনের চিকিৎসা চলছে।

 

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন জানান, প্রাইভেটকারে থাকা তিনজন বগুড়া থেকে রংপুর দিকে যাচ্ছিলেন। মহাসড়কের চকপাড়া এলাকায় আসার পর প্রাইভেটকারের চাকা ফেটে যায়। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারের বিপরীত দিক থেকে আসা বগুড়াগামী এক ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ তিনজনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক দু'জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

অপরদিকে একই রাতে বগুড়া সদরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯ জন। শনিবার রাত ১১ টায় উপজেলার মাটিডালি ২য় বাইপাস মহাসড়কের কালিবালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহত ওই বাস যাত্রী মো: মিলন (৩৫) গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলার মালিবাড়ি গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে। তার লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ দুর্ঘটনায় আহত ৯জন বর্তমানে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থা গুরুতর।

 

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল আহম্মেদ।

 

জানা যায় , সৌরভ পরিবহনের একটি গাড়ি ঢাকা মেট্রো গ ১৫-০২০৩ নম্বরের বাসটি উল্টে গেছে। গাড়ির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। রাস্তার ওপর রক্তের দাগ রয়েছে। গাড়ির কাঁচের টুকরো পড়ে আছে।

 

দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে থাকা যাত্রী আব্দুর রশিদ জানান, তাদের গাড়ি গাইবান্ধা থেকে ঢাকা দিয়ে যাচ্ছিলো। গাইবান্ধা থেকেই নাফু পরিবহনের এক বাসের সাথে এই বাসটি পাল্লা দিয়ে আসছিল। এখানে আসা পর্যন্ত উভয় বাস একে অপরকে কয়েকবার ওভারটেক করে। বারবার নিষেধ করেও চালককে তারা থামাতে পারেননি। একপর্যায়ে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।

 

বগুড়ার মাটিডালি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) জালাল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পরেই বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি। একজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ শজিমেকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও আহতদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য

Beta version