-->

রেললাইনে বেঁধে রাখা ছিল মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
রেললাইনে বেঁধে রাখা ছিল মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে রেললাইনের ওপর থেকে দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে জিআরপি পুলিশ। রেললাইনের ওপর দড়ি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

 

বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর সরকারি কেএমএইচ কলেজের পেছনের রেললাইনের ওপর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

 

স্থানীয়রা সকালে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও স্টেশন মাস্টারকে জানান। পরে যশোর থেকে জিআরপি পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

 

পরিচয়পত্রে ওই ব্যক্তির নাম: মনির হোসেন, বাবার নাম: মৃত মফিজ উদ্দীন, ঠিকানা: পাথরা, ঢাকাপাড়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহ লেখা আছে।

 

কোটচাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মইনুল হোসেন মইন জানান, সকালে এলাকাবাসী তাকে খবর দেন রেল লাইনের ওপর দেহ ও মাথা বিছিন্ন এক ব্যক্তির লাশ পড়ে রয়েছে। রাতের কখন, কোনো ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা গেছেন তা জানা যায়নি।

 

দড়ি দিয়ে রেললাইনের ওপর ওই ব্যক্তিকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। মহেশপুর যাবদপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর আরিফুল ইসলাম জানান, নিহত ব্যক্তি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাবদপুর ইউনিয়নের পাথরা ঢাকাপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে মনির হোসেন বলে তিনি শনাক্ত করেছেন। কিন্তু তারা মহেশপুরের স্থানীয় বাসিন্দা নন। সপ্তাহ খানেক আগে মনির গ্রামে এসে আবার চলে গেছে।

 

যশোর জিআরপি পুলিশের আইসি রবিউল ইসলাম জানান, কেউ এখনো লাশ শনাক্ত করতে আসেনি। ঘটনাস্থল থেকে দড়ি পাওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো ঘটনা আছে সেটা লাশের ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। এখনই কোন কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version