-->

অবশেষে ছাড়পত্র পেল ৭৭০ টন পাথর চূর্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
অবশেষে ছাড়পত্র পেল ৭৭০ টন পাথর চূর্ণ

আখাউড়া স্থলবন্দরে ছাড়পত্র পেল ২৭০০ টন পাথর চূর্ণ। অবশেষে দীর্ঘ দিন আখাউড়া স্থলবন্দরে আটকে থাকা ২ হাজার ৭শ টন পাথর চ‚র্ণের মধ্যে ছাড়পত্রের জন্য অনুমোদন পেয়েছে ৭৭০ টন পাথর চূর্ণ। কাস্টমসের ছাড়পত্র না পাওয়ায় ২ মাস ১০ দিন আখাউড়া স্থলবন্দরে আটকে ছিল এই পাথরের চূর্ণ। সোমবার সকাল থেকে ৭৭০ টন পাথরের ধূলো খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধির দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকেরা।

 

এগুলো আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোর লেন রাস্তা সম্প্রসারণ কাজে ব্যবহার করার জন্য ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

 

জানা যায়, আমদানির পর থেকে কাস্টমসের জটিলতায় আটকে যায় পাথর ধূলো। এই বন্দর দিয়ে এ রকম পাথর আমদানি অনুমোদন না থাকায় বন্দর থেকে ছাড়পত্রের অনুমোদন পাননি স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ড। এতে করে অনেক বাধাবিপত্তির মধ্য দিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

 

এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মো. মোজাম্মেল হক জানান, আমরা ২ মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২ হাজার ৭শ টন গুঁড়া পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদের জানানো হয়, এই বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এরপর থেকে কাস্টমসের নানা জটিলতায় গুঁড়া পাথরগুলো বন্দরে আটকে যায়।

 

পরবর্তীতে (এনবিআর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রথম চালানের ৭৭০ টন গুঁড়া পাথর খালাসের অনুমোদন দেয়া হয়। তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯৩০ টন গুঁড়া পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদের ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এতে করে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।

 

আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, ২ হাজার ৭শ টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে ৭৭০ টন গুঁড়া পাথর অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধিরা সোমবার সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে করে ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

 

এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণ পাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে।  বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।

 

উল্লেখ্য, আমদানি হওয়া পাথরগুলো ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রতি টন ১৩ মার্কিন ডলারে আমদানি করছে। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকৃত পাথরের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করছে। পাথরগুলোর আমদানি শুল্ক প্রায় ৬৯ শতাংশ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version