-->

নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার, মাগুরায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মাগুরা প্রতিনিধি
নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০ পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার, মাগুরায় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর মোহাম্মদ ইমরুল মহসিন

দেশের চাহিদা মেটাতে এবার নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের চাহিদার তুলনায় প্রায় ৮ লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ ও রসুন উৎপাদন হলেও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ। ফলে পেঁয়াজ-রসুনের চাহিদা মেটাতে নির্ভর করতে হচ্ছে বৈদেশিক আমদানির ওপর। পেঁয়াজ-রসুনের এই বৈদেশিক আমদানিনির্ভরতা কমাতে এবার দেশে নির্মাণ করা হচ্ছে ৩০০টি আধুনিক পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার।

 

শুক্রবার মাগুরায় পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণাগার নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার গ্রামে এই সংরক্ষণাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওমর মোহাম্মদ ইমরুল মহসিন।

 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন, সহকারী পরিচালক জি এম মহিউদ্দিন, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার, শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালমা জাহান নিপা, আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এবিএম মোরশেদ, নড়াইলের কৃষি বিপণন কর্মকর্তা কাঞ্চন চক্রবর্তী, মাগুরা জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

 

মহাপরিচালক ওমর মোহাম্মদ ইমরুল মহসিন বলেন, কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণ পদ্ধতি আধুনিকায়ন বিপণন কার্যক্রম উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ জেলার (ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও পাবনা) ১২টি উপজেলায় মোট ৩০০টি পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় পেঁয়াজ-রসুন সংরক্ষণাগার নির্মাণের কাজ শুরু হলো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকদের পেঁয়াজ ও রসুন সংরক্ষণে সহায়তা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্প্রসারণ, বাজার-সংযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করে দরিদ্রতা হ্রাস করা। এই সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হলে পেঁয়াজ-রসুনের পচনশীলতাকে ২৫ থেকে ৩০% রোধ করা সম্ভব। তাছাড়া আমদানিনির্ভরতা কমানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমানো ও বিপণনে কৃষকদের দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হবে।

 

তিনি জানান, গত অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ টন। যেখানে আমাদের চাহিদা ছিল ২৮ লাখ টন। চাহিদার তুলনায় প্রায় ৮ লাখ টন বেশি উৎপাদন হলেও আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়েছে সাড়ে ৬ লাখ টন পেঁয়াজ। দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পোষাতে ও আমদানিনির্ভরতা কমাতে বর্তমান সরকার এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

 

মাগুরা জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের আয়োজনে এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, মাঠকর্মীসহ প্রায় শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version