-->

বরগুনা ফেরিঘাটে সিরিয়ালের নামে চাঁদবাজি

বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা ফেরিঘাটে সিরিয়ালের নামে চাঁদবাজি
ফেরিঘাটে চাঁদা দিচ্ছেন ভুক্তভোগী একজন ট্রাক চালক

বরগুনা আমতলী উপজেলার ফেরিঘাটে যাবাহনের সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের নামে বেপরোয়াভাবে চাঁদা তোলা হয়। চাঁদাবাজদের হাত থেকে এমন কি ভ্যান-রিকশা চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না।

 

আমতলী-বরগুনার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রুট হচ্ছে এ-ই ফেরি ঘাট। এই ঘাট দিয়ে বরগুনা, বেতাগী, বরিশাল, খুলনা, পিরোজপুর, যশোর, পবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ভারী যানবাহন গুলো এই চলাচল করে।

 

জানা যায়, ফেরিঘাট এলাকায় মোহাম্মদ আলী নামের এক লোক বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে চাঁদা তোলেন। এ সময় চালকদের হাতে ‘বরগুনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন’ লেখা সম্বলিত ২০ টাকার একটি টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

 

ট্রাক চালক সাইফুল অভিযোগ করে বলেন, এ পথে যাতায়াত করতে গেলে প্রতিবারই সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের জন্য শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজনকে ৫০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে চাঁদা আদায়কারী লোকজনের কাছে চরম নাজেহাল হতে হয়।

 

চাঁদা আদায়কারী মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা শ্রমিক ইউনিয়নের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি। ঘাটে পৌঁছানোর পর ফেরিতে উঠা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আগে উঠা নিয়ে প্রায়ই বাস-ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যে দ্ব›দ্ব হতো। তাই সিরিয়াল মতো যানবাহন উঠানো হচ্ছে। এজন্য দশ টাকা করে নেওয়া হয়।

 

বরগুনা জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জব্বার মিয়া বলেন, ফেরিঘাটে শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কাউকে ইজারা বা নিয়োগ দেওয়া হয় নাই। আমার জানামতে ওখানে কোন চাঁদা আদায় করা হয় না।

 

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো.হাবিবুর রহমান বলেন, সিরিয়ালের ব্যাপারে কোন ইজারা দেয়া হয়নি। যদি এরকম অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ ব্যাপারে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আরো অভিযোগ রয়েছে। এটি একটি খুবি দুঃখ জনক বিষয়। ঘাটে যারা চাঁদা আদায়ের বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version