-->
‘শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী রেড ক্রিসেন্ট

মাগুরায় মা ও শিশু হাসপাতালের’ উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মাগুরায় মা ও শিশু হাসপাতালের’ উদ্বোধন
‘শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের’ উদ্বোধন করেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পিছনে অসামান্য অবদান রয়েছে ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর। আর তার সেই অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মাগুরায় নির্মাণ করা হয়েছে হাসপাতাল।

 

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার টুপিপাড়া গ্রামে বুধবার দুপুরে ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আব্দুল ওয়াহ্হাব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি পঙ্কজ কুন্ডু। অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস-চেয়ারম্যান নুর-উর-রহমান, মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রসের হেড অব ডেলিগেস্ আলী আকগুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান প্রমুখ।

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্মীকৃতি স্বরূপ ভারতের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর নামে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ‘শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী রেড ক্রিসেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের’ নামকরণ করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রসের অর্থায়নে ৩০ শতক জমির উপর প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে ২ তলা এই হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে। এখানে মা ও শিশুদের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা, গাইনি রোগের সেবা প্রদানসহ জরুরীভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ২ জন মেডিকেল অফিসার, ২ অভিজ্ঞ মিডওয়াইফ ও ২ নার্স সেবা প্রদান করবেন।

 

হাসপাতাল উদ্বোধন উপলক্ষে রেডক্রিসেন্ট হলিফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডাক্তার হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল প্রায় ২ শতাধিক রোগীদের বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ প্রদান করেন। এছাড়া স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version