-->

দিনাজপুরে ব্লাকে টিকিট বিক্রি, গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা

দিনাজপুরে ব্লাকে টিকিট বিক্রি, গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা
সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে এবং অনলাইনে টিকিট না পেয়ে নাজেহাল হয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে এসব টিকিট কিনছেন

দিনাজপুরে ট্রেনের টিকিট কাটতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ব্লাকে টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর হয়ে ঢাকা যাওয়া-আসা করে ৩টি আন্তঃনগর ট্রেন- ১. দ্রুতযান আন্তঃনগর এক্সপ্রেস, ২. বিমুসিই পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন, ৩. একতা এক্সপ্রেস ট্রেন। এই আন্তঃনগর ৩টি ট্রেনে ১০০ শতাংশ টিকিটের মধ্যে অনলাইনে ৫০ এবং কাউন্টারে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রয় করা হয়। এর মধ্যে দিনাজপুরে ৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে বরাদ্দ রয়েছে।

 

সকালে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেসের এসি বার্থ ৪টি, এসি চেয়ার ৪টি, শোভন চেয়ার ৪টি, দুপুরে বিমুসিই আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এসি বার্থ ৮টি, শোভন চেয়ার ৯০টি, রাত্রিতে আন্তঃনগর ট্রেন একতা এক্সপ্রেস এসি বার্থ ৬টি, শোভন ৯০টি টিকিটসহ অনলাইনের টিকিট গুলি, প্রায় সমুদয় টিকিট চিহ্নিত টিকিট কালোবাজারির ডিলারেরা, বিপদগামী নারী-পুরুষদের টিকিট কাউন্টারের প্রথম সারিতে দার করিয়ে টিকিট গুলি কেটে নিচ্ছে।

 

শোভন চেয়ার ৪৬৫ টাকা মূল্যের টিকিত ব্লাকে বিক্রয় করা হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টকায়, এসি চেয়ার ৯০০ টাকা মূল্যের টিকিট ব্লাকে বিক্রয় হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়, স্লিপার কেবিন ১ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের টিকিট ব্লাকে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায়।

 

সেই সঙ্গে অনলাইনের টিকিটগুলিও কেটে নিচ্ছে, ফলে আন্তঃনগর ট্রেনের সাধারণ যাত্রীরা টিকিট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর এই টিকিটগুলি বাংলাদেশ রেলওয়ে দিনাজপুর স্টেশন চত্বর প্ল্যাটফর্মের ভেতর ও বাহিরে প্রকাশ্যে দুই-তিন গুণ অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীরা ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে এবং অনলাইনে টিকিট না পেয়ে নাজেহাল হয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই বেশি দামে এসব টিকিট কিনছেন।

 

প্রকাশ্যে টিকিট বিক্রি করলেও দিনাজপুর রেলওয়ে প্রশাসন (এস এস ডিপার্টমেন্ট) ও বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর এন বি) দিনাজপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখছেন, আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে দিনাজপুর বিরল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন, দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট (এস এস) জিয়াউল জিয়া ছুটিতে থাকায় (এস এস) এর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটছে তারা আমি কী করব।

 

রেলওয়ে সুত্র জানায়, বিরল স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেনকে পঞ্চগড় স্টেশনে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনকালে স্টেশন ওয়ার্কিং রুল, স্টেশন ম্যানুয়েল, জি আর রুল এবং জি এস রুল পরিপন্থী কার্যকলাপেরর অপরাধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিরল স্টেশনে বদলি করা হয়।

 

টিকিট কাটতে আসা সাধারণ যাত্রী মো. মাহমুদুল হক (মিঠুল) অভিযোগে বলেন, ১ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৯.৩০ টা থেকে ২ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত টিকিট কাটার জন্য টিকিট কাউন্টারের লাইনের প্রথম সিরিয়ালে দাঁড়াই। বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আর এন বি) এস আই সরওয়ার (আর এন বি) সদস্য রায়হান টিকিট কালোবাজারি ঠিকাদারদের ইশারায় আমাকে বারংবার প্রথম সিরিয়াল থেকে সরানোর অপচেষ্টা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে সেখান থেকে সটকে পড়েন তারা।

 

এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির ব্যাপারে রেলওয়ে থানা দিনাজপুরের অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিগত সময় জুড়ে আমরা অনেক টিকিট কালোবাজারিদের ধরে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সর্বক্ষণিক রেলওয়ে স্টেশন মনিটরিং করে থাকে। প্রকাশ্যে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করা হচ্ছে আমরা জানতে পারলে, তাদের সনাক্ত করে প্রমাণ সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version