-->

ভালুকায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ভালুকায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ১০নং হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া মৌজায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫০নং দাগে ১নং খাস খতিয়ানে সরকারি জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণের পর ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া গ্রামে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ করে স্থানীয় মজিবর রহমান, বুলবুল মিয়া রফিকুল, সবুজ মিয়া, সাইফুল গংরা ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছে।

 

জামিরদিয়া মৌজায় ১৫০নং দাগে মোট জমি রয়েছে ১৬৬ একর। যার মধ্যে ১নং খাসখতিয়ানে সরকারি জমি ১০২ একর। এই জমি থেকে ৩ একর জমি দেয়া হয়েছে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জন্য। জবরদখল করে প্রায় ২০-২২টি ঘর তৈরি করে ভাড়াটিয়াদের কাছে ভাড়া দিয়ে ভাড়ার টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছেন তারা।

 

ওই এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মানিক কামরুলসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা জীবন কুমার বিশ্বাসকে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দকৃত ১৫০নং দাগে ১নং খাসখতিয়ানে সরকারি জমি জবরদখল করে বাড়ি নির্মাণ করার কথা জানালে ভূমি কর্মকর্তা এসে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলেন। দখলকারী সাময়িক কাজ বন্ধ রেখে আবার কাজ শুরু করে বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। ভ‚মি কর্মকর্তা জীবন কুমার বিশ্বাস বাবু কার্যকর পদক্ষেপ নেননি।

 

তিনি আরো আগে পদক্ষেপ নিলে এসব বাড়িঘর হতো না। স্টেডিয়ামের জায়গা প্রায় দখল হয়েই গেছে। স্টেডিয়ামের জমি জবরদখল হওয়ায় ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তার ভ‚মিকা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে ভাড়া উঠাচ্ছেন দখলকারীরা।

 

এ বিষয়ে মজিবর রহমান জানান, পূর্ব পুরুষ থেকে এ জমি ভোগদখলে আছি। ভাড়া দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আমরা নিজেরাই ব্যবহার করছি। যখন স্টেডিয়ামের জায়গার প্রয়োজন হবে তখন ছেড়ে দিব।

 

হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তা জীবন কুমার বিশ্বাস বলেন, শেখ রাসেল স্টেডিয়ামের জমি জবরদখল করে ওই জমিতে ঘর তোলা শুরু করলে দখলদার ১৫ জনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের জন্য সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) একটি মামলা করেছি। সাতজনের নামে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেছি।

 

ভালুকা মডেল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন জানান, সরকারি জমি জবরদখলের অভিযোগে ইতিপূর্বে মামলা নিয়ে আসামি গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আব্দুল্লাহ আল বাকীউল বারী বলেন, হবিরবাড়ী ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা গত নভেম্বর মাসে ভূমি দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছে আমার মাধ্যমে ডিসি স্যারের কাছে। উচ্ছেদের আদেশের জন্য খোঁজ নিচ্ছি আদেশ পেলেই উচ্ছেদ করা হবে। সরকারি জমি যাতে কোনোভাবেই বেহাত না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version