-->
শিরোনাম

ঘন কুয়াশাঘেরা চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
ঘন কুয়াশাঘেরা চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে শীতজনিত রোগ

চুয়াডাঙ্গা শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গেছে গোটা জেলা। বেলা বাড়লেও মেলে না সূর্যের দেখা। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।

 

চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড থাকায় এ জেলায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। দৃষ্টিসীমা ৫০০ মিটার।

 

গত প্রায় ১০ দিন জেলায় ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না। দিনে শীত কম হলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কমে হাড় কাঁপানো শীত অনূভ‚ত হচ্ছে। এর ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ বাড়ছে এবং শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ঠান্ডা জ্বর, কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।

 

গত তিন দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রায় ৩৫০ জন রোগী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। যা ধারণক্ষমতার চেয়ে ১৫ গুণ। এছাড়া হাসপাতালে বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৪০০ রোগী প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শীতজনিত ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়া রোগী অন্যতম। শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের শরীরে গরম কাপড় পরিয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। শীতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভান্ডার থেকে পাওয়া ২০১০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও ৩০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সেগুলো পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।

 

এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য চিঠি পাঠানো হয়ে। সেখান থেকেও সাড়া মিলবে বলে আশা করছি।’

 

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে থেকেই চুয়াডাঙ্গায় ধীরে ধীরে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করেছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এ আবহাওয়া আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version