-->

চাঁদপুরে রঙিন মাছ চাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা তারেক

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে রঙিন মাছ চাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা তারেক
ক্যাপশন: নিজ প্রজেক্টে কাজ করছেন তরুণ উদ্যোক্তা তারেক হোসেন

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চরবাকিলা গ্রামের বাসিন্দা তারেক হোসেন। তিনি পেশায় একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। কাজের ফাঁকে ইউটিউব দেখে রঙিন মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। ২০১৯ সালের শুরুতে চারটি চৌবাচ্চা দিয়ে রঙিন মাছ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে খামারে গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্ভ, ওরেন্টা গোল্ড, সিল্কি কই, মলি, গাপটি, প্লাটিসহ ১১ প্রজাতির মা মাছ রয়েছে। শুরুতে মাত্র এক লাখ টাকা দিয়ে চাষাবাদ শুরু করলেও বর্তমানে তার খামার রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির একুরিয়াম পিস।

 

রঙিন মাছ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা তারেক। শখের বসে ইউটিউব দেখে শুরু করলেও বর্তমানে মাছের চাষের মাধ্যমে তিনি মাসে গড়ে আয় করছেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। শুরুতে বাড়ির আঙিনায় ও একটি পরিত্যক্ত জমিতে ছোট্ট পরিসরে প্রজেক্ট শুরু করলেও বর্তমানে দুটি পুকুর, ৩০টি চৌবাচ্চায় প্রায় দেড় একর জমিতে করছেন এই চাষাবাদ। উদ্যোক্তার দাবি শৌখিন এই মাছ চাষ ব্যাপক লাভজনক আর মৎস্য বিভাগ বলছে, রঙিন মাছ চাষে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

 

শুরুতে বাড়ির আঙিনায় ও একটি পরিত্যক্ত জমিতে ছোট্ট পরিসরে গড়ে তোলেন রঙিন মাছের প্রজেক্ট। এতে পেয়েছেন পরিবারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা। নিজের বাড়ির বাইরে থাকায় বাবা ও ছোট দুই ভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত দেখাশোনা করছেন এসব মাছের। বাইরে অলস সময় না কাটিয়ে নিজেদের প্রজেক্টে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তারাও।

 

এদিকে রঙিন এসব মাছ দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের তরুণ যুবক ও মধ্যবয়সিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

 

জেলার মৎস্য কর্মকর্তার দাবি, বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ ও বাসাবাড়িতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে শৌখিন মানুষ এসব মাছ পালন করেন। এসব মাছের দাম একটু বেশি। তাই রঙিন মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

 

একটি মাছ বছরে প্রায় তিন হাজার রেণুপোনা দেয়। নিজের খামারে উৎপাদিত পোনা দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করেন তিনি। বছরে আয় করছেন প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা। সরকারি খাসজমি পেলে তার খামার আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনার কথা জানান এই উদ্যোক্তা।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য

Beta version