-->

নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর খোঁজ পাইয়ে দিতে প্রতারক চক্রের ফোন

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর খোঁজ পাইয়ে দিতে প্রতারক চক্রের ফোন

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় তাসফিয়া আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর খোঁজ মিলছে না। এরপর থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে ফোন আসে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর বাবা আবদুস সবুরের কাছে। মুঠোফোনে বলা হয়, ৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে, পরে থানা থেকে সন্ধ্যায় মেয়েকে নিয়ে যেতে। এর আগে মঙ্গলবার সকালে আরেকটি ফোন আসে ফেনী থেকে।

 

ফোনে বলা হয়, ‘তাসফিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফেনী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জরুরি রক্তের প্রয়োজন’ বিকাশে নির্ধারিত টাকা পাঠালে রক্তের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা করা হবে।

 

এ খবর পেয়ে তাসফিয়ার বাবা আবদুস সবুর ও মা ফেনীতে চলে যায়। পরে কোনো খোঁজ না পেয়ে আবার ফিরে আসে। আবদুস সবুর ফোনকলের বিষয়টি নিয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোনকলটি প্রতারক চক্রের বলে নিশ্চিত করেন থানার ওসি মো. মাহবুব মিলকী।

 

এদিকে নিখোঁজের ৩ দিন পার হলেও তাসফিয়ার কোনো খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজের বিষয়ে সোমবার দুপুরে তাসফিয়ার বাবা আবদুস সবুর রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

 

এর আগে রোববার স্কুলে যাওয়ার কথা বলে সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি তাসফিয়া। তাসফিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবিদপাড়া এলাকার আবদুস সফুরের মেয়ে ও রাজাভুবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

 

তাসফিয়ার বাবা আবদুস সবুর জানান, রোববার সকালে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্কুলে না যাওয়ায় তাসফিয়ার সহপাঠীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, সে স্কুলে যায়নি।

 

এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, কেউ যখন নিখোঁজ বা অপহরণের শিকার হয় তখন একটি প্রতারক চক্র সুবিধা নিয়ে ভুক্তভোগীকে ফোন করে এবং সন্ধান পেয়েছে বলে টাকা দাবি করে।

 

তিনি আরো বলেন, আইনগত মাধ্যমে যদি তাসফিয়াকে পাওয়া যায়, তবে একমাত্র সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা কল দিয়ে জানাবেন ভুক্তভোগী পরিবারকে। স্কুলছাত্রী তাসফিয়া নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version