-->

মানিকগঞ্জে সংকটের অজুহাতে বেশি দামে সার বিক্রি

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে সংকটের অজুহাতে বেশি দামে সার বিক্রি
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সারের দোকান

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কারসাজির মাধ্যমে সার সংকট তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পটাশ সারের দাম প্রতি বস্তায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেয়া হচ্ছে।

 

পাশাপাশি ইউরিয়া ও ডিএপি সার বেচাকেনাতেও নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। কৃষকদের কাছে বিক্রিত সারের কোনো রশিদ দেয়া হচ্ছে না। কোনো কৃষক সার ক্রয়ের রশিদ চাইলে তার কাছে সার বিক্রি করছে না কোনো ডিলার।কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে পটাশ সার পাওয়া যায় না। বাড়তি টাকায় সার পাওয়া গেলেও তার সাথে অতিরিক্ত কিনতে হচ্ছে দস্তা এবং বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের ১৩ জন সারের ডিলার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে। প্রকাশ্যেই কৃষকদের কাছ থেকে বেশি টাকায় সার বিক্রি করছে তারা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সার ডিলার সমিতির সভাপতি মো. খবির সিকদার।

 

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গালা ইউনিয়নে একজন পাইকারি ডিলার ও প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে খুচরা ডিলার থাকার কথা। অথচ গালা ইউনিয়নের ঝিটকা বাজারেই ১৩ জন পাইকারি ও খুচরা ডিলার রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা। ইউনিয়ন ভিন্ন হলেও সার কিনতে ঝিটকা আসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। ফলে বাড়তি টাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় নষ্ট হচ্ছে তাদের।

 

ঝিটকা বাজারে সরকারের তালিকাভুক্ত ১৩টি সারের দোকানে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত বাজার অনুসন্ধানে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। কৃষক সামাদ মিয়া বলেন, আমাদের আজিমনগরের ডিলার নিজ ইউনিয়ন বাদ দিয়ে ঝিটকা বাজারে সার বিক্রি করছে। বিষয়টি কৃষি অফিসে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। এর ফলে প্রতি বস্তায় অতিরিক্ত ৬০ টাকা খরচ হচ্ছে। এক সপ্তাহ ঘুরেও পটাশ পাইনি।

 

লেছরাগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে ঝিটকা আসা মজিবর রহমান বলেন, দুই বস্তা পটাশ নিয়েছি ২৫০০ টাকা দিয়ে এবং অন্যান্য সারও বেশি দামে কিনতে হয়েছে। রশিদ চাইলে সার বিক্রি করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় ডিলাররা।

 

সার বেচাকেনায় অনিয়মের বিষয়ে ডিলার সমিতির সভাপতি খবির শিকদার বলেন, আমার এই বাজারে যদি কেউ বেশি দামে সার বিক্রি করে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি নিজে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

ডিলারদের পক্ষে সাফাই গেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল গফফার বলেন, আমি আসার আগে থেকে ঝিটকা বাজারে একাধিক ডিলাররা ব্যবসা করছে। সারের দাম বেশি নেয়ার কথা না। যদি কেউ বেশি নেয় প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version