-->

মেট্রোরেলে তৃতীয় দিনে বেড়েছে টিকিট বিক্রি, আয় ১২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মেট্রোরেলে তৃতীয় দিনে বেড়েছে টিকিট বিক্রি, আয় ১২ লাখ টাকা

মেট্রোরেল থেকে প্রথম দিন যেভাবে আয় হয়েছে, দ্বিতীয় দিন তার অর্ধেকও হয়নি। প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে আয় কমেছে। অথচ প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের ট্রিপ সংখ্যা ছিল একই ৫০টি। তবে রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে গত শনিবার। এদিনে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে।

 

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, শনিবার সিঙ্গেল জার্নি টিকিট (এসজেটি) বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৮৯টি। প্রতিটার দাম ৬০ টাকা ধরে আয় হয়েছে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭১০ টাকা। একই দিনে এমআরটি পাস বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৩৪৮টি। এ খাতে আয় হয়েছে ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকার। ফলে মোট ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে।

 

অথচ প্রথম দিন সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৬টি। প্রতিটি টিকিটের দাম ৬০ টাকা। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য ৩০৪টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়। প্রতিটি এমআরটি পাসের দাম মোট ৫০০ টাকা। এর মধ্যে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা। বাকি ৩০০ টাকা ব্যালেন্স, যা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। সব মিলিয়ে প্রথম দিনে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। তবে দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শুক্রবার মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়। অথচ প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিন ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৫০।

 

অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা উত্তরা স্টেশনে ২৫ বার করে মেট্রোরেল যাতায়াত করেছে, অর্থাৎ ট্রিপ সংখ্যা ৫০। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে ট্রিপ সংখ্যা একই হলেও ভাড়া কমেছে অনেক। অথচ মেট্রোরেলে চড়তে না পেরে হাজারো মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে তৃতীয় দিনে।

 

ডিএমটিসিএলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় দিনে ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭১০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। অথচ প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের যোগ ফলের থেকেও বেশি। এর প্রধান কারণ মানুষ ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস সামনের দিনগুলোয় আরো বেশি আয় হবে। কারণ মেট্রোরেলের ধারণক্ষমতার কোনো সমস্যা না, সমস্যা হচ্ছে টিকিট সরবরাহ করা। যাত্রীদের টিকিট সরবরাহ যত স্মুথ করব ততই আয় বাড়বে মেট্রোরেলে।

 

জানা গেছে, মেট্রোরেল ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় নতুন একটি যুগ। রাজধানীতে প্রথমবারের মতো যাত্রী নিয়ে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করেছে। যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী দেখছে ব্যস্ত সড়কের মধ্যে পিলার বসিয়ে তৈরি উড়ালপথে ছুটে চলছে ট্রেন। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও চলে আসছে মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর ২৯ ডিসেম্বর গণমানুষের জন্য উন্মুক্ত হয় মেট্রোরেল।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version