বাড়ির পাশে বন
নদের চাঁদ ফকির
বাড়ির পাশে দীঘি ছিল দীঘির পাশেই বন
সেই বনেতে নানান পাখি ডাকতো সারাক্ষণ
দুপুরবেলায় ঘুঘু ছানার আনমনা সে ডাক
রাত্রিকালে হুক্কা হুয়া শিয়াল মামার হাঁক
নিত্যদিনই সে ডাক শুনে বুক ধড়ফড় করত
দাদি তখন শক্ত করে জড়িয়ে আমায় ধরত
বলতো দাদি আকাল আসবে শোনো দাদুভাই
শিয়াল ডাকলে আকাল আসে এর রক্ষা নাই
দাদির কাছে শুনি আমি আকাল কারে কয়?
দাদি বলতেন দেশে সেবার বড়ই অভাব হয়।
বনের মধ্যে রাতের বেলা কীসের যেন আলো!
ভয় পেলেও সেই আলোটা দেখতে লাগে ভালো,
মা বলতেন এসব হলো জিন-পরীদের খেলা
বনের মধ্য রাত্রে বসে জিন-পরীদের মেলা
প্রতিদিনই ভাই-বোনেরা অপেক্ষাতে থাকতাম
বেড়ার ফাঁকে ভয়ে ভয়ে সে আলোটা দেখতাম।
বনের মাঝে শিমুল ডালে হুতুম পাখি ডাকতো
বুলবুলিটা বকুল ডালে লেজ গুটিয়ে রাখত
সেই বনেতে বনভোজন সেই বনেতে খেলা
সেই বনেতে লুকিয়ে ছিল আমার ছেলেবেলা।
সেই বনটা নেই আর এখন হয়ে গেছে গত
প্রিয় বন নেই আছে কেবল স্মৃতি শত শত,
ভূমিদস্যু সে বনটারে কিনলো উচ্চতরে
আকাশছোঁয়া ভবন সেথা উঠছে থরে থরে
স্মৃতির পটে কেবল ভাসে প্রিয় সে বনখানি
বনের কথা উঠলে মনে ঝরে চোখের পানি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য