-->
তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী

প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানির আরো বাড়ানো হোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রযুক্তি পণ্যের রপ্তানির আরো বাড়ানো হোক

দেশে তৈরি হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানির হার বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতি বছর দেশে তৈরি হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে দেড় থেকে দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার উপার্জন হচ্ছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশের বাইরে কয়েকটি দেশে মোবাইল ও ল্যাপটপ রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

 

বিশ্বের ১৮০ দেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বাজার তৈরি হয়েছে, এটি বিস্ময়করই বটে। অন্যদিকে আউটসোর্সিংয়ে তরুণরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন।

 

এখন ভারতের কাছাকাছি টাকায় তরুণ প্রজন্ম আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাচ্ছেন, এটিও ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অর্জন। প্রযুক্তিবান্ধব সরকার শিক্ষায় বিনিয়োগকে ব্যয়ের পরিবর্তে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করছে। কেননা বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম তৈরিই সরকারের অভিপ্রায়, যাতে নতুন প্রজন্ম সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

 

‘নতুন পৃথিবীতে স্বাগত। এই পৃথিবী একেবারে নতুন, চৌকস’ এমনই থিম নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো-২০২৩’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের জাতীয় বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত চার দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সম্ভাবনা ও উদ্ভাবনকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

‘বেসিস সফটএক্সপো-২০২৩’-এর এবারের আয়োজনে নতুন উদ্যোগকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিজনেস লিডারস মিট ও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০০ পদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেবেন। বিশাল ব্যাপার, সন্দেহ নেই। এ ছাড়া থাকছে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অ্যাম্বাসাডর নাইট, মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স, তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনবল ও চাকরির খোঁজ দিতে আইটি জব ফেয়ার এবং ক্যারিয়ার ক্যাম্প, বিটুবি ম্যাচমেকিং সেশন, ফ্রিল্যান্সিং কনফারেন্স, স্টার্টআপ কনফারেন্স, ডেভেলপার্স কনফারেন্স, উইমেন ইন আইটি প্রোগ্রাম, জাপান ডে’সহ নানা আয়োজন।

 

বর্ণিল ও ব্যাপক আয়োজনই বলতে হবে। থাকছে ১৮টি সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠক। যেখানে সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি-বেসরকারি নেতারা আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ফলে দরকারি প্রস্তাবনা ও দিকনির্দেশনা উঠে আসবে বলে আশা করা যায়। তাই এটিকে শতভাগ সাফল্যমÐিত করার সর্বাত্মক ব্যবস্থা রয়েছে বলে আমরা আশাবাদী।

 

এর আগে দেশীয় হার্ডওয়্যার পণ্য বিকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে হয়েছিল ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১। ওই আয়োজন ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশনের কাজে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার চিত্রটি সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরতে পেরেছিল।

 

দেশের শ্রমশক্তিকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থানীয় ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন শিল্পকে এগিয়ে নেয়ার বিকল্প নেই। আইসিটিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের যথাযথভাবে কাজে লাগাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।

 

তরুণ উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন এবং আবিষ্কারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ ধরনের এক্সপোর আয়োজন ইতিবাচক ফল বয়ে আনে। তাই এই সুযোগের পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহার করা চাই। আমরা চলমান এই তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীর শতভাগ সাফল্য কামনা করি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version