-->

সিপায় লাভবান হবে বাংলাদেশ-ভারত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
সিপায় লাভবান হবে বাংলাদেশ-ভারত
শনিবার কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) সহযোগিতায় সেমিনারে

প্রস্তাবিত ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’ (সিপা) এর সম্ভব্যতার বিষয়ে লাভ ক্ষতির হিসেব নিকেস করছে বাংলাদেশ ও ভারত। সিপা চুক্তি সম্পন্ন করা গেলে এতে উভয় দেশই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে আরো এগিয়ে যাবে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

শনিবার (১৮ জুন) কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (সিআইআই) সহযোগিতায় সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং সিআইআই এর প্রেসিডেন্টও বক্তব্য রাখেন।

ড. মোমেন বলেন, গত এক দশকে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল সন্তোষজনক। কয়েক বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং করোনা মহামারিতে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত বছর দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে।

ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের মংলা ও মিরসরাইয়ের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে উভয় দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক সময় খাদ্য ও সাহায্য নির্ভরতার জন্য পরিচিত বাংলাদেশ এখন শুধু খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় বরং ধান, শস্য, শাকসবজি, কিছু ফলমূল এবং মিঠা পানির মাছের অন্যতম বৃহৎ উৎপাদনকারীও।

বাংলাদেশ তার নিজস্ব তহবিল দিয়ে দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্প সম্পন্ন করে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। যা আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে।

চলমান বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং ইউরোপের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়নের মুখে কূটনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেন ড. মোমন।

মন্তব্য

Beta version